একটোপিক প্রেগন্যান্সির লক্ষণ কেমন?
সাধারণত গর্ভধারণ জরায়ুতে না হয়ে টিউবের ভেতর হলে তাকে একটোপিক প্রেগন্যান্সি বলে। একটোপিক প্রেগন্যান্সির লক্ষণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৭২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. বর্ণালী দাশ।
ডা. বর্ণালী দাশ বর্তমানে আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : একটোপিক প্রেগন্যান্সিতেও কি স্বাভাবিক গর্ভধারণের মতো লক্ষণ দেখা দেবে?
উত্তর : সাধারণত টিউবের ভেতর যে সময়টাতে থাকে, তার আশপাশে, তার থেকে একটু বেশি সময়, সাধারণত ছয় থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে আমরা বুঝে যাই, যখন রোগী আমাদের কাছে আসে। ঋতুস্রাব বন্ধের একটি ছোট ইতিহাস দেবে সে। দেড় মাস-দুই মাস ঋতুস্রাব বন্ধ। যেকোনো পাশেই হয়তো ব্যথা অথবা পুরো পেটেই হয়তো ব্যথা করতে পারে। এ রকম নিয়ে আমাদের কাছে আসে। এটা হলো স্বাভাবিক। আস্তে আস্তে ব্যথা হচ্ছে, এই রকম হয়। এ ছাড়া জরুরি যেটা, একিউট যদি হয়, টিউবের ভেতর থাকল, ফেটে গেল বা ওখানে হয়ে রক্তপাত হলো, রোগী খারাপ অবস্থায় চলে গেল, শকে চলে গেল, সে রকম হলে তীব্র ব্যথা নিয়েও রোগী আমাদের কাছে আসে। আমরা পরীক্ষা করতে গিয়ে দেখি এ রকম সমস্যা হয়েছে। পেটের ইতিহাস নিই। ইতিহাস এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ।
একটোপিকের ক্ষেত্রে আলট্রাসনোগ্রাফি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। আর সব সুবিধা তো আমি সব জায়গায় পাব না। সেখানে একটি প্রস্রাব পরীক্ষা দিয়েই বুঝে নিতে হয়। বিটাএসি যে একটি রক্তের পরীক্ষা রয়েছে, এটি দেখেও আমরা অনেকটা বুঝতে পারি।
প্রশ্ন : একটোপিক প্রেগন্যান্সি প্রাথমিক অবস্থায় না ধরা পড়লে কতখানি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে?
উত্তর : যদি রাপচার হয়ে যায়, এর তো একটা ক্যাপাসিটি রয়েছে। ক্যাপাসিটির বাইরে তো সে রাপচার করল। আর ক্রনিক একটোপিকও রয়েছে। ছোট রয়েছে। তখন সে ক্ষেত্রে চিকিৎসার ধরনটাও ভিন্ন হয়। আর যদি ফেটে যায়, তাও সমস্যা হয়। চিকিৎসাও জটিল হয়ে যায়।