উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কী করবেন?
উচ্চ রক্তচাপ দুই ধরনের। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি। সাধারণত প্রাইমারি উচ্চ রক্তচাপের কারণ জানা যায় না। আর সেকেন্ডারির ক্ষেত্রে ব্যায়াম না করা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, বংশগতি ইত্যাদিকে কারণ হিসেবে ধরা হয়।
এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৭৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ইলিয়াস আলী। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর : এখন বলতে গেলে, আমি কিন্তু অনেকদিন ধরেই এই পেশার সঙ্গে জড়িত। ৪২ বছর আমার হয়ে গেছে। ৭৮ সালে আমি ডাক্তারি পাশ করেছি। তখন তেমন কোনো ওষুধই ছিল না। এখন যে যুগে আমরা এসেছি, আমাদের দেশীয় অনেক ভালো ওষুধ রয়েছে। যদি চিকিৎসকের সঙ্গে রোগীর সম্পর্ক ভালো থাকে, রোগী মনে করে একবার ওষুধ খেয়েছি, একটু নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। পরে ওষুধটা বন্ধ করে দেব। এটি একটি বড় কারণ।
আরেকটি বিষয় হলো সবাই চিকিৎসকের কাছে আসতে চায় না। একে আমি দুই ভাগে ভাগ করে বলি। সবসময় যে ওষুধ খেতে হবে, বিষয়টি তেমন নয়। ওষুধ না খেয়ে কেবল জীবন যাপন পরিবর্তন করে প্রেশার কমানো যেতে পারে। যদি শুধু কেউ ব্যায়াম করে, তাহলে উচ্চ রক্তচাপ অনেকটা কমে যাবে। আমাদের যারা স্থূলকায়, যাদের ওজন বেশি, তাদের ১০ কেজি ওজন কমানো যেতে পারে। একইভাবে লবণ খাওয়াটা কমাতে হবে। কাঁচা লবণ আঙুলের মাথায় যেটি নেবে সেটি খাবে না। আবার দেখা যায়, খাবার অভ্যাসের মধ্যে, যদি শুধু ফলমূল বেশি খায়, খাবারের মধ্যে সবজি বেশি খায়, চর্বি জাতীয় লাল মাংস খাবে না, সাদা মাংস খাবে, মাংসের চর্বি যাকে বলি, সেটি খাবে না। এই ক্ষেত্রে দেখা গেছে প্রায় ১০ মিলিমিটার প্রেশার কমে যাবে।
রোগীর যদি সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন থাকে, তাহলে তার কারণ অনুসন্ধান করে চিকিৎসা করতে হবে। আর ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে দিতে হবে। এরপর রোগীর কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে ওষুধগুলো ঠিকমতো খাচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে। পরীক্ষা থেকে বিভিন্ন অনুসন্ধানে দেখা গেছে,এক তৃতীয়াংশ লোক বোঝেই না প্রেশার কী। আর এক তৃতীয়াংশ লোক মাঝেমধ্যে ওষুধ খায়, মাঝে মাঝে বাদ দেয়।