বন্ধ্যত্বের চিকিৎসায় করণীয়
বন্ধ্যত্বের সমস্যা বর্তমানে বাড়ছে। কিছু শারীরিক সমস্যা, ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান ইত্যাদি বন্ধ্যত্বের জন্য দায়ী। বন্ধ্যত্বের চিকিৎসায় করণীয় বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৭০তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. কামরুন নেসা।
অধ্যাপক ডা. কামরুন নেসা বর্তমানে বিআরবি হাসপাতালের গাইনি ও অবস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : বন্ধ্যত্বের চিকিৎসায় করণীয় কী?
উত্তর : আসলে বন্ধ্যত্বের জন্য নারী ও পুরুষ দুজনেই দায়ী। সেজন্য আমরা প্রথম দম্পতিকে দেখি। স্বামী- স্ত্রী দুজনের আমরা ইতিহাস নিই। তার কোনো ধরনের মেডিকেল সমস্যা, কোনো আগের সার্জারি বা কোনো ধরনের রোগ রয়েছে কি না দেখি। তার স্বামীরও আমরা ইতিহাস নিই। এরপর আমরা পরীক্ষা করি, তাদের শারীরিক কোনো সমস্যা রয়েছে কি না দেখি। স্থূলতা কিন্তু এখন একটি বড় কারণ। স্থূলতা রয়েছে কি না দেখি। উচ্চতা, ওজন আমরা দেখি। এরপর স্বামী- স্ত্রীর শারীরিক কোনো সমস্যা রয়েছে কি না, এগুলো আমরা পরীক্ষা করে দেখি। কিছু সাধারণ পরীক্ষা করি। এর মধ্যে স্বামীর কিছু হরমোন আমরা পরীক্ষা করে দেখি। টিউবাল ফ্যাক্টর দেখি, স্বামীর সিমেনও পরীক্ষা করে দেখব।
আমরা যখন দেখি স্বামীর সমস্যা হচ্ছে, তখন অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে। এখন আমরা অনেক ধরনের ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করতে পারছি। এগুলো দিয়ে চিকিৎসা করলে আমরা ভালো ফলাফল পাই। অনেক ভালো ভালো ইনজেকশন রয়েছে এখন। আমরা ধীরে ধীরে ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে বাড়িয়ে তাদের চিকিৎসা দিতে পারছি। তার যদি টিউবাল ফ্যাক্টর থাকে, টিউব যদি ব্লক থাকে, তাহলে এখন সুযোগ রয়েছে আইভিএফ ( টেস্ট টিউব বেবি) করার। বাংলাদেশে অনেক সেন্টার রয়েছে যেখানে টেস্ট টিউব বেবি করা যায়। আইভিএফ বাংলাদেশেই এখন হচ্ছে।
ইউট্রাসে কোনো সমস্যা থাকলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দেই। ইউট্রাসে হয়তো ফাইব্রয়েড থাকতে পারে বা পলিপ থাকতে পারে, এগুলো থাকলে আমরা সার্জারি করতে পারি।