ভেজাইনাল ইচিংয়ে করণীয়

Looks like you've blocked notifications!
ইচিংয়ে জ্বালাপোড়া ভাব চলতে থাকলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। ছবি : ইউটিউব

ভেজাইনাল ইচিং বা ভেজাইনার চুলকানি নারী শরীরের একটি প্রচলিত ব্যাধি। মেয়েশিশুর জন্মের পর থেকে ৫৫ বছর পর্যন্ত এ সমস্যা হতে পারে। ফাংগাল ইনফেকশন, মিক্সড ইনফেকশন, ট্রাইকোমোনিয়াস, ভেজাইনার শুষ্কতা—এসব কারণে ভেজাইনাল ইচিং হতে পারে। এটি নারীকে বেশ অস্বস্তিকর অনুভূতির মধ্যে ফেলে।

ইচিং কেন হয়

কসমেটিকস ব্যবহারে

ভেজাইনায় বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস ব্যবহারের ফলে এটি হতে পারে। যেমন : ডিউড্রেন, ক্রিম ইত্যাদি।

মেনোপজের সময়

অনেকের ক্ষেত্রে মেনোপজের সময় ভেজাইনাল ইচিং হতে পারে।

ছোট কৃমির ফলে

ছোট কৃমির সংক্রমণের কারণে হতে পারে।

জরায়ু মুখের ক্যানসার

জরায়ু মুখের ক্যানসারও ইচিং হওয়ার একটি বড় কারণ।

সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড অসুখ

সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড অসুখের কারণেও ইচিং হতে পারে।

ইচিং প্রতিরোধে

  • ইচিং রোধ করার সবচেয়ে বড় বিষয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই এটি এড়ানো সম্ভব।
  • এসব ক্ষেত্রে সিনথেটিক পেন্টি ব্যবহার না করাই ভালো। সিনথেটিক প্যান্টি ব্যবহার ইচিংয়ের কারণ হতে পারে। তাই সুতি কাপড়ের প্যান্টি ব্যবহার করা ভালো।
  • অন্তর্বাস গরম পানি দিয়ে ফুটিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
  • ইচিং হলে ভেজাইনা লবণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
  • স্পর্শকাতর স্থানে কম সাবান ব্যবহার করতে হবে। বেশি সাবান ব্যবহারের ফলে শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

এসবের পরও যদি চুলকানি বা জ্বালাপোড়া ভাব না কমে, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

প্রতিকারমূলক

  • ভেজাইনাল ইচিং যদি মিক্সড ইনফেকশনের কারণে হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টি-ফাংগালজাতীয় ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।
  • এ সময় রোগীকে লোকাল ভেজাইনাল ক্রিমও লাগাতে দেওয়া হয়। পাশাপাশি খাওয়ার ওষুধও দেওয়া হয়।
  • ইচিং যদি ছোট কৃমির কারণে হয়, তাহলে কৃমিনাশক ওষুধ ব্যবহার করতে দেওয়া হয়।
  • যদি রোগী বিবাহিত হয়, তবে স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে হয়।
  • ইচিং হওয়ার সময়ে ইন্টারকোর্স না করাই ভালো।

ডা. সামছাদ জাহান শেলী : সহযোগী অধ্যাপক, বারডেম হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।