অ্যানেসথেসিয়া কখন ঝুঁকিপূর্ণ?
সাধারণত সার্জারির সময় অজ্ঞান করার প্রয়োজনে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়। কিছু কিছু শারীরিক অবস্থা রয়েছে যখন অ্যানেসথেসিয়া একটু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।
অ্যানেসথেসিয়া কখন ঝুঁকিপূর্ণ,এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৮০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. চঞ্চল কুমার দেবনাথ। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালে অ্যানেসথিওওলজি (নিউরো) বিভাগে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কোন কোন শারীরিক অবস্থায় অ্যানেসথেসিয়ার ঝুঁকি বাড়ে?
উত্তর : অ্যানেসথেসিয়া ঝুঁকিপূর্ণ এটি সম্পূর্ণভাবে বলা যাবে না। অ্যানেসথেসিয়া এখন অনেক উন্নত। আগে যেমন একটি ভয় ছিল যে জ্ঞান ফিরবে কি না, এই বিষয়টি কিন্তু এখন আর নেই। যাই হোক, তারপরওতো ঝুঁকি থেকে যায়। কোন কোন অবস্থায় অ্যানেসথেসিয়া ঝুঁকিপূর্ণ? একজন মানুষের যে অস্ত্রোপচার হবে, সেই অস্ত্রোপচার যে রোগের কারণে হবে, আমরা বলি সার্জিক্যাল কারণ। এই সার্জারির বিষয়টির বাইরে তার অন্যান্য কিছু রোগ থাকে। একে আমরা কো মরবিডিটি বলি। এই কোমরবিড অবস্থায় কিছু ঝুঁকি বেড়ে যায়। রোগীর কার্ডিয়াক কোনো সমস্যা থাকতে পারে। রোগীর উচ্চ রক্তচাপ থাকতে পারে। তার হার্টের সমস্যা থাকতে পারে। হার্টের রক্ত স্বল্পতা, ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ যেটি এটি থাকতে পারে, ভালভুলার হার্ট ডিজিজ থাকতে পারে, কনজেনিটাল হার্ট ডিজিজ থাকতে পারে।
আবার রোগীর লিভারে সমস্যা থাকতে পারে। এ ছাড়া রোগীর কিডনির রোগ থাকতে পারে। তার ফুসফুসের রোগ থাকতে পারে। এই রোগগুলোতে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া একটু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।
বয়স একটি বিষয়। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অ্যানেসথেসিয়া একটু ঝুঁকিপূর্ণ বড়দের থেকে। আবার একটি সময় রয়েছে ৬০ বছরের পরে অর্থাৎ বয়স বেড়ে গেলে একটি ঝুঁকি বেড়ে যায়। আরেকটি হলো গর্ভাবস্থায়। একজন নারী যখন গর্ভবতী অবস্থায় থাকে, তখন যদি তাকে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয় সেই সময় একটু ঝুঁকি হয়। সেই ক্ষেত্রে দুটো জীবন থাকে। দুটো জীবন ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। এখানে বিকলাঙ্গ শিশু হওয়ার আশঙ্কা থাকে। গর্ভপাতের ঝুঁকি থেকে থাকে। ইউরোলজিক্যাল বৃদ্ধি কম হতে পারে। ইউট্রাসে বাচ্চার বৃদ্ধি কম হতে পারে। এমনকি এই বাচ্চাটা বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জন্ম নিতে পারে।