নবজাতকের জন্য সূর্যের আলো কতটা জরুরি?

সাধারণত ৬০ ভাগ নবজাতকের জন্ডিস হতে দেখা যায়। নবজাতকের জন্ডিসের সমস্যার সমাধানে একটি চমৎকার চিকিৎসা হলো তাকে সূর্যের আলোতে রাখা। আর সূর্যের আলোতে রয়েছে ভিটামিন ডি। এটি হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।
নবজাতকের ক্ষেত্রে সূর্যের আলোর প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩২৯২তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মশিউর রহমান। বর্তমানে তিনি ইউনাইটেড হসপিটালে নবজাতক ও শিশু বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : নবজাতককে রোদে রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ? কতটুকু সময় রোদে রাখবে?
উত্তর : আর আরেকটি জিনিস হলো রোদ। রোদটা একটি শিশুর জন্য প্রচণ্ড রকমভাবে জরুরি। প্রথম কথা হলো জন্মের পর পরই তো শিশুর জন্ডিস হয়। এটা কিন্তু শতকরা ৬০ জনের হতে পারে। এটি ক্ষতিকর কিছু নয়, যদি একটি সীমা অতিক্রম না করে। যখনই একটু জন্ডিস দেখবে, তখনই রোদে রাখবে। মিষ্টি রোদটা খুব ভালো। আর কাঁচের ভেতর দিয়ে যে রোদ আসে, এটাও কিন্তু জন্ডিসটা কমায়। যত বেশি জন্ডিস, তত বেশি সময় ধরে সে রাখবে। এক ঘণ্টা /দুই ঘণ্টা খুব জরুরি। সকালের দিকে। আটটা থেকে ১০টা এই রোদটা ভালো। দুপুরের দিকে না হলে ভালো।
আরেকটি জিনিস আমি বলতে চাই যে সূর্যের আলোতে রয়েছে ভিটামিন ডি। কাঁচের ভেতর দিয়ে যে সূর্যের আলোটা ঢোকে, তখন কিন্তু ভিটামিন ডি প্রস্তুত করার জন্য যে রে সেটি আর ঢুকতে পারে না। তাই বাইরের রোদ দরকার।
শিশুরা হলো বাড়ন্ত। আমরা যারা বড় হয়ে গেছি, আমরা কিন্তু আর লম্বা হব না। তবে শিশুরা লম্বা হবে। লম্বা হলে তাদের হাড় লম্বা হবে। হাড়ের বৃদ্ধির জন্য দরকার হলো ভিটামিন ডি। এটা খুবই জরুরি। মা-বাবার মনে রাখতে হবে, যেসব শিশু বাইরে রোদ পাচ্ছে না, বিভিন্ন কারণে যেতে পারছে না, তাদের অবশ্যই যেন ভিটামিন ডি খাওয়ায়। উন্নত বিশ্বে কিন্তু প্রতিনিয়ত ভিটামিন ডি খাওয়ানো হয়।
আমাদের দেশের মা-বাবা মনে করে, রোদ তো আছেই। তবে রোদ যে কেবল শিশুর মুখে লাগছে, সারা শরীরে লাগছে না, সেটি খেয়াল করে না। আসলে শিশুটির কিন্তু রোদ লাগছে না।