গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিসের লক্ষণ কী?
কিডনির অংশ গ্লমেরুলোর প্রদাহকে সাধারণত গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস বলে। এই রোগের লক্ষণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩০০তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ।
অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ বর্তমানে বিআরবি হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কী হয় এই রোগে? লক্ষণ কী প্রকাশ পায়? সাধারণত কাদের এই সমস্যা হয়ে থাকে?
উত্তর : লক্ষণ যদি বলি, কিছু প্রচলিত লক্ষণ রয়েছে এর। প্রথমেই দেখা যায় যার নেফ্রাইটিস হয়েছে, তার চোখের পাতাটা একটু ভারী ভারী থাকে। ঘুম থেকে উঠলে দেখা যায়, চোখের যে নিচের পাতা রয়েছে, একটু ফোলা ফোলা। আস্তে আস্তে সমস্ত মুখমণ্ডল ফুলে যায়। এরপর যদি কোনো অগ্রবর্তী পর্যায়ে যায়, তাহলে পায়ে পানি ও সারা শরীরে পানি চলে আসে। তবে শুরুটা কিন্তু হয় মুখ থেকে।
আবার যদি লিভার সিরোসিস হয় বা সেল ক্রনিক ডিজিস যদি হয়, তাহলেও পানি আসে। তাদের পানি আসাটা সাধারণত শুরু হয় পেট থেকে। তাদের মুখ ফোলার পরিবর্তে মুখ বসে যাওয়া থাকে। আবার যদি বলি হার্টের কারণে পানি আসে, সে ক্ষেত্রে পানি আসা শুরু হয় পা থেকে। গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিসে পানি আসা শুরু হয় মুখে থেকে। এতে দেখা যায় সঙ্গে সঙ্গে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। কারো প্রস্রাব লাল হতে পারে। অর্থাৎ প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যেতে পারে।
এটি চেনার খুব সহজ একটি উপায় রয়েছে। প্রস্রাবের পরিমাণ খুব কমে গেল এবং প্রস্রাবের রং একটু লালচে হলো, এমন যাদের হয় তাদের ক্ষেত্রে একটু যদি পরীক্ষা করে দেখি প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন যায় কি না, সেইসঙ্গে কোনো কোনো ক্ষেত্রে রক্তকণিকা কমে যেতে পারে, তাহলে নিশ্চিতভাবে বলতে পারি এটি গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস।