ত্বকের সংক্রমণ থেকে গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস হলে লক্ষণ কী?
গ্লমেরুলোনেফ্রইটিস কিডনির ছাঁকনির প্রদাহজনিত এক ধরনের রোগ। ত্বকের রোগ স্কেবিজ, গলাব্যথা ইত্যাদির জীবাণু কিডনিতে ছড়িয়ে গিয়ে অনেক সময় এই রোগ হয়।
স্কেবিজ, গলাব্যথা ইত্যাদির কারণে গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস হলে লক্ষণ কী ধরনের হয়, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩০০তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালে কিডনি রোগ বিভাগে প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : স্কেবিজ বা গলার সমস্যা থেকে গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস হওয়ার লক্ষণ কী?
উত্তর : আমরা ভাবি,স্কেবিজ থেকে হলে বা গলার সমস্যা থেকে হলে শরীর বোধ হয় ফুলে যাবে, আসলে তা নয়। যখন সংক্রমণগুলো হয়, যেই জীবাণুগুলো রয়েছে,সেই জীবাণুগুলোর যে চেহারা আর আমাদের যে ছাঁকনি রয়েছে কিডনির,সেই ছাঁকনির চেহারা অনেকটা একই রকম। যেকোনো জীবাণু ঢুকলে আমাদের শরীর ওদের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরোধ তৈরি করে। একে অ্যান্টিবডি বলে। যেহেতু জীবাণুর চেহারা আর আমাদের ছাঁকনির চেহারা এক রকম,তাই অ্যান্টিবডি দুটোকেই আক্রমণ করে।
অ্যান্টিবডি তৈরির জন্য দেড় থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগে। সে জন্য ত্বকে সংক্রমণ হলে দেখা যায় দুই থেকে চার সপ্তাহ পর, আর গলায় সংক্রমণ হলে এক বা দুই সপ্তাহ পরই লক্ষণ প্রকাশ পায়।
যদি দেখা যায় মুখ ফুলে যাচ্ছে, শরীর ফুলে যাচ্ছে এবং সেটিতে প্রস্রাবের রং লাল হয়ে যাচ্ছে, তখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। অনেক সময় প্রেশার বেড়ে যায়। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে, এমনকি হার্ট ফেইলিউর নিয়েও আসে। প্রেশার এত বেড়ে যায় যে তাদের হার্ট ফেইলিউর হয়ে যায়।
প্রশ্ন : যেই বাচ্চার এই ধরনের সমস্যা হচ্ছে, তাকে দেখে কী বোঝা যায়?
উত্তর : বোঝা যায় তার মুখ থেকে। প্রস্রাব কমে যায়। শরীর দেখা যায় ফুলতে থাকে। তবে অনেক ফুলে যায় সেটি নয়। দেখা যাবে, একটু পরিশ্রম করলে বা দৌঁড়ালে বাচ্চা হাঁপিয়ে যাচ্ছে। এমন হলে ধারণা করতে হবে তার পোস্ট ইনফেকশাস গ্লমেরুলোনেফ্রাইটিস হয়েছে। তখন একজন কিডনি বিশেষজ্ঞের কাছে গেলে তিনি দ্রুত প্রস্রাব পরীক্ষা করে বুঝতে পারবেন সমস্যাটা কী হয়েছে।