কিডনি রোগের লক্ষণ কী?

Looks like you've blocked notifications!
কিডনি রোগের লক্ষণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ ও ডা. সানজিদা হোসেন। ছবি : এনটিভি

ভিন্ন কিডনি রোগের ভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে অধিকাংশ লক্ষণই প্রকাশ পায় বেশ দেরিতে। কিডনি রোগের লক্ষণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩০২তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ।

বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : কিডনি রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো কী?

উত্তর : যদি আমরা কিডনি বিকলের কথা বলি, তাহলে দেখব, ৭০ থেকে ৮০ ভাগ নষ্ট হওয়ার আগে তেমন কোনো লক্ষণ দেখা দেয় না। এ জন্য একে নীরব ঘাতক বলা হয়। আর কিডনি বিকলের যদি লক্ষণ বলি, তাহলে দেখা যায় প্রথমেই চোখ-মুখ একটু ফুলে যায়। চেহারা ফ্যাকাসে হয়ে আসে রক্তশূন্যতার জন্য। খাওয়ার রুচি কমে যায়, বমি বমি ভাব থাকে। এরপর বমি হতে থাকে। এরপর যত বাড়তে থাকে, তত আমাদের যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ রয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, সেগুলো আক্রান্ত হয়। এর জন্য কারো শ্বাসকষ্ট হয় বা বুকে পানি জমে যায়। যার আগে উচ্চ রক্তচাপ ছিল না, তার নতুন করে উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়।

অন্যদিকে কিডনি বিকল নয়, এরপরও কিডনি রোগে আক্রান্ত এ রকম কিছু অবস্থা রয়েছে। যেমন কিডনিতে যদি পাথর হয়, সেটি যদি নালিতে কোথাও আটকে যায়, তাহলে পেটে, তলপেটে, নাভির দুপাশে তীব্র ব্যথা হতে পারে। আমাদের যে জননেন্দ্রিয় রয়েছে, সে পর্যন্ত ব্যথা চলে আসতে পারে। এ ছাড়া প্রস্রাবে রক্ত যেতে পারে।

আবার যদি দেখা যায়, কারো প্রস্রাবে সংক্রমণ রয়েছে, সেখানে দেখা যায় ঘন ঘন প্রস্রাব হবে। সেইসঙ্গে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, তলপেটে ব্যথা, প্রস্রাব করার পরও মনে হবে কিছু প্রস্রাব রয়ে গেল। আবার যদি জিএন হয়, সে ক্ষেত্রে দেখি যে চোখ-মুখ ফুলে যাচ্ছে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কখনো প্রস্রাবের রং লাল হয়ে আসে। এগুলো দেখলে বোঝা যায়, প্রাথমিকভাবে রোগী আক্রান্ত হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ রোগই নীরব।