কিডনি রোগ নির্ণয়ে যেসব পরীক্ষা করবেন
মাত্র দুটি পরীক্ষা করে কিডনির রোগ সহজেই নির্ণয় করা যায়। একটি হলো প্রস্রাবের অ্যালবুমিন যাচ্ছে কি না, সেই পরীক্ষা। আরেকটি হলো ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা। প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগ ধরা পড়লে অনেক জটিলতা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
কিডনি রোগ নির্ণয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩০২তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম এ সামাদ। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালের কিডনি রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : যারা ঝুঁকিপূর্ণ, তাদের কী করা উচিত? আগে থেকে যেন রোগ নির্ণয় করতে পারে, সে জন্য কী কী পরীক্ষার প্রয়োজন?
উত্তর : আমি সব সময় মাত্র দুটি পরীক্ষার কথা বলি। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে বা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, তাদের যদি দেখা যায় প্রস্রাবে অ্যালবুমিন যাচ্ছে, এটা কিন্তু অশনিসংকেত যে তার কিডনি আক্রান্ত হচ্ছে। এ সময় যদি তার চিকিৎসা করা যায়, যে কারণে অ্যালবুমিন যাচ্ছে, তাহলে রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হয়ে যাবে। আর দ্বিতীয়ত, আমরা রক্ত থেকে পরীক্ষা করতে পারি তার ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা। আর এই ক্রিয়েটিনিন হলো কিডনির মাপকাঠি। সেই মাপকাঠি দিয়ে আমরা বুঝতে পারি যে কিডনি ১০০ ভাগের কত ভাগ কাজ করছে। সে অনুযায়ী যেটি ক্রনিক কিডনি ডিজিস, সেটিতে কিডনি কিন্তু ধীরে ধীরে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর ক্ষয় হতে থাকে।
আমাদের দুটি কিডনিতে যে ২৪ লাখ ছাঁকনি থাকে, সেই ছাঁকনিগুলো আক্রমণ করে শেষ করে দেয়, শেষ করার পর আবার আক্রমণ হচ্ছে, আক্রমণ হচ্ছে। এভাবে ছাঁকনিগুলো ধ্বংস করতে করতে ৫০ ভাগ যখন শেষ, তখন দেখা যায় আস্তে আস্তে তার ক্রিয়েটিনিন একটু একটু করে বাড়ছে। কিন্তু আমরা যদি হিসাব করে ইজেএফআর বের করি যে সে কোন পর্যায়ে রয়েছে, তাহলে কিডনি খারাপ হওয়ার গতিকে কমিয়ে রাখা যায়। সে জন্য প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগ নির্ণয়ের গুরুত্ব অনেক।