খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে কি কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্পর্ক রয়েছে?
খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। মূলত শাকসবজি, ফলমূল কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। আবার অতিরিক্ত প্রোটিন, ফাস্টফুড, পনির ইত্যাদি কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে তোলে।
খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্পর্কের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩০৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. নজরুল ইসলাম আকাশ। বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : খাদ্যাভ্যাস বা খাদ্যের ধরনের সঙ্গে কি কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্পর্ক রয়েছে?
উত্তর : কোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে খাদ্যাভ্যাস বা খাদ্যের ধরন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাচ্চারা যখন মায়ের দুধ ছেড়ে নতুন খাবারে আসে, তখন আমাদের শরীরের বিভিন্ন যে এনজাইম, যেগুলো আগে কাজ করেনি, সেগুলো নতুন করে কাজ করা শুরু করে। অথবা এই খাবারগুলো হজম যেভাবে হওয়ার কথা বা যেভাবে পায়খানা তৈরি হওয়ার কথা, সেভাবে হয় না। এ জন্য খাদ্যাভ্যাস অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু খাবার বেশি করে বাউয়েলে পানি ধরে রাখে। যেসব খাবার পানি ধরে রাখে না, সেগুলো যদি আমরা খাই, তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
সাধারণত আঁশজাতীয় খাবারগুলো পানি ধরে রাখে। সেই খাবারগুলো হলো শাকসবজি, ফলমূল ইত্যাদি। এরপর হলো নিয়মিত পানি পান করা। এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি করে না। আর এর বাইরে প্রোটিন, চর্বি, চিজ, ফাস্টফুড, বেশি আলু বা আলুজাতীয় খাবার ইত্যাদি কোষ্ঠকাঠিন্য তৈরি করে। আর যেসব ফল কাটলে কস হয়, অর্থাৎ আয়রন থাকে, এই ধরনের খাবারদাবার আমরা যদি খাই, তাহলে সে ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য বেশি হয়।