অবাঞ্ছিত লোমের চিকিৎসায় করণীয়

Looks like you've blocked notifications!
অবাঞ্ছিত লোমের চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা করেছেন অধ্যাপক রেজা বিন জায়েদ ও ডা. সানজিদা হোসেন। ছবি : এনটিভি

শরীরের বিভিন্ন স্থানে অপ্রয়োজনে লোম হওয়ার বিষয়টিকে অনাকাঙ্ক্ষিত বা অবাঞ্ছিত লোম বলা হয়। সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে পুরুষালি হরমোন অ্যান্ড্রোজেন বেশি থাকলে এ সমস্যা হয়।

বর্তমানে অবাঞ্ছিত লোমের বেশ ভালো চিকিৎসা রয়েছে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩০৯তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক রেজা বিন জায়েদ। বর্তমানে তিনি স্কিন স্কয়ারের চর্মরোগ বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : আপনারা অবাঞ্ছিত লোমের কীভাবে সমাধান দেন?

উত্তর : অবাঞ্ছিত লোমের পরিমাণ কিন্তু একেবারেই কম নয়। ১০০ জনে ১০ জন মেয়েদের এই অবাঞ্ছিত লোম হতে পারে। অবাঞ্ছিত লোম নিয়ে অনেক নিজেকে অনেকভাবে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করে। কারণ, অবাঞ্ছিত লোম যাদের হয়, তারা মানসিকভাবে কিছুটা দুর্বল থাকে, এই ভেবে যে কেউ দেখে ফেলে কি না। মানসিকভাবে সে বিপর্যস্ত হয়ে যায়। এই জন্য সে লুকানোর চেষ্টা করে।

প্রথমে কাউকে বলতে চায় না। পরে যদিও বলে, তারপরও নিজে নিজে চেষ্টা করে কেটে ফেলে রাখার, ছেঁটে ফেলে দেওয়ার। এরপরও যখন হচ্ছে না, তখন হয়তো চিকিৎসকের কাছে যায়। আবার অনেক সময় দেখা যায় অন্যদের পরামর্শ শুনতে থাকে। এভাবে অনেকে চলতে থাকে। চিকিৎসা যদি ঠিকমতো না করা যায়, তাহলে কিন্তু এটি দেখে পরিত্রাণ পাওয়া বেশ মুশকিল হয়ে যায়।

প্রশ্ন : চিকিৎসা কীভাবে শুরু করেন?

উত্তর : আগে পরামর্শ দিয়ে শুরু করা হয়। আগে নিশ্চিত করি, লোম হচ্ছে বটে, তবে শরীরে অন্য কোনো পরিবর্তন হবে না। প্রথমে তাকে আশ্বস্ত করা হয়, এটি থেকে অন্য কোনো সমস্যা হবে না এ বিষয়ে।

এর খুব ভালো চিকিৎসা রয়েছে। চিকিৎসা করলে শুধু যে ভালো হয়ে যায় সেটি নয়, মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়া থেকেও পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।

আমরা যেটি করি, প্রথমে অ্যান্ড্রোজেন হরমোনটা পরিমাপ করে দিই। সহজ একটি রক্ত পরীক্ষায় আমরা এটি পেয়ে যাই। যদি দেখি অ্যান্ড্রোজেন হরমোনটা বেশি, সেই আন্দাজ করে চিকিৎসা দিই। অ্যান্টিঅ্যান্ড্রোজেন হরমোন একটি চিকিৎসা রয়েছে, ওষুধ রয়েছে, এটি দিয়ে থাকি। সাধারণত এগুলো কটিকোস্টেরয়েড দলের অথবা এটি ফিনেস্টারাইড দলের অথবা এটি হতে পারে অ্যান্টিঅ্যান্ড্রোজেন।

পরিমাপের পরে এ ধরনের ওষুধগুলো দিয়ে থাকি। সুবিধা হলো যেভাবে নতুন নতুন চুল আসছিল, সেটি আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যায়। এখন বাকি রইল যেগুলো রয়েছে. সেগুলো নষ্ট করা। নষ্ট করার জন্য রোগী নিজে নিজে একে ছেঁটে রাখতে পারে। এটি করতে পারলে আমরা একে স্বাগত জানাই। কিছু ওষুধ রয়েছে লাগিয়ে ব্যবহার করতে হয়, সেগুলো লাগালে চুলগুলো পড়ে যায়। ছেঁটে রাখাটা তো স্থায়ী কোনো সমাধান নয়। এখন পৃথিবীতে সবচেয়ে প্রচলিত লেজার। এই লেজার দিয়ে দেখা যায় চিকিৎসাতে অবশিষ্ট লোমগুলোতে পড়ে যায়, যেটি উচিত. অর্থাৎ সূক্ষ্ম পশম সেটি ফেরত আসে। একেবারে পরিষ্কার হয়ে চকচকে হয়ে যায় না লেজারে। যেটা স্বাভাবিক সেটি চলে আসে। এ জন্য লেজার করে মেয়েরা মানসিকভাবে অত্যন্ত পরিত্রাণ পায়। এটি হলো চিকিৎসাবিজ্ঞানের সফলতা। আগে যেটি হতো না সেটি হচ্ছে।