গর্ভধারণের আগে পরামর্শ কেন নেবেন?
গর্ভধারণের সময়টি একজন নারীর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে কেবল গর্ভধারণের পরেই নয়, আগেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এমনটাই মতামত বিশেষজ্ঞদের।
গর্ভধারণের আগে কেন পরামর্শ নেওয়া জরুরি, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩১০তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ফারজানা রহমান ডালিয়া। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনি ও অবস বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : গর্ভধারণ-পূর্ব পরামর্শ বিষয়টি আসলে কী?
উত্তর : সাধারণত গর্ভধারণের পরে একজন নারী প্রসূতিবিদ্যার চিকিৎসকের কাছে যান। কিন্তু নিয়মটা হচ্ছে, একজন দম্পতি যখন চিন্তাভাবনা করবেন সন্তান নেওয়ার, সেই সময়, অর্থাৎ গর্ভধারণের আগেই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যাবেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন। এটি হলে গর্ভকালীন মা ও গর্ভের সন্তানটি সুস্থ থাকবে। নিরাপদে মা তার সন্তানটিকে জন্ম দিতে পারবে। এটা হলো প্রয়োজনীয়তা। একে আমরা বলি পরিকল্পিত গর্ভধারণ।
গর্ভধারণের সময় অনেক ধরনের জটিলতা হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় অসুস্থ সন্তান জন্ম হচ্ছে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যদি গর্ভধারণ করে, সে ক্ষেত্রে একটি সুস্থ, সুন্দর, সবল সন্তান জন্ম দিতে পারে।
সাধারণত কখন একজন মা চিকিৎসকের কাছে যায়? যখন তার ঋতুস্রাব হচ্ছে না, তখন চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সে জানতে পারে যে সে গর্ভধারণ করেছে। এটি সাধারণত জানা যায়, পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহে। তবে চার সপ্তাহের মধ্যেই কিন্তু একটি শিশু যতটুকু বৃদ্ধি পাওয়ার কথা, সেটি হয়ে যায়। জন্মগত ত্রুটি হলে কিন্তু তখনই হয়। সে জন্য এই ধারণাটা খুবই প্রয়োজন যে একটি সুস্থ, সবল বাচ্চার জন্য গর্ভধারণের আগে থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।