চুল প্রতিস্থাপন কী, কীভাবে করা হয়?

Looks like you've blocked notifications!
হেয়ার প্লানটেশনের বিষয়ে আলোচনা করেছেন ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম ও ডা. সানজিদা হোসেন। ছবি : এনটিভি

চুল পড়ার সমস্যা সমাধানে বা নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে চুল প্রতিস্থাপন বা হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয়।

হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট কী, কীভাবে করা হয়, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩১৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম। বর্তমানে তিনি ঢাকা ডার্মাটোলজি ইনস্টিটিউট ও লেজার ট্রিটের ডার্মাটোলজি বিভাগে প্রধান পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট কী, কাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য?

উত্তর :  হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্টে মূলত তিনটি জিনিস রয়েছে। একটি হলো, এফিইউটি। ফলিকুলার ইউনিট ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন। পেছন থেকে একটি অংশ কেটে, কৃত্রিম ভাবে কেটে কেটে ফলিকল বের করা হয়। এর জন্য বিরাট একটি দল লাগে। সার্জন এটা কেটে দিল, আরেকটি দল একে আলাদা করবে। এর জন্য অনেক সময় লাগে। এটি এখন দুনিয়া থেকে উঠে যাচ্ছে।

কেন উঠে যাচ্ছে ? কারণ, পেছনে অনেক বড় ক্ষত থাকে। একে সেলাই করতে হয়, অনেক কষ্ট, ব্যথা, প্রতিটা জিনিস চুলে আবার লাগানো, সব মিলিয়ে ঝামেলা। আরেকটি পদ্ধতি রয়েছে এফইউই। একে ফলিকল ইউনিট এক্সট্রাকশন বলি। এতে কী করা হয়? একটি মাইক্রোমটর রয়েছে, সেই মোটর দিয়ে প্রতিটি চুলকে তোলা হয়। চুলকে কীভাবে তোলা হয়? একটি ছোট পাঞ্চ রয়েছে এটি দিয়ে তুলে আবার মোটর দিয়ে মাথায় লাগিয়ে ফেলা হয়। এর একটি অসুবিধা রয়েছে। এক সঙ্গে অনেক বেশি করা যায় না। পাশাপাশি ট্রান্সসেকশন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মানে হলো গোড়াটা কেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আমি ১০০ চুল তুললাম, লাগালাম, দেখলাম মাত্র ৩০টা টিকল। সত্তরটাই টেকে না। গোড়াটা আমি এক্সট্রাক্ট করলাম, সেটারই আঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, মোটর। এর ওপর আমার নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে যেটা আমরা করছি এটি হলো ডিএইআই। ডাইরেক্ট হেয়ার ইমপ্ল্যান্টেশন। এটা আধুনিক পদ্ধতি। এটিই সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি এখন পর্যন্ত। হ্যান্ড পাঞ্চ দিয়ে দিয়ে প্রতিটা হাত দিয়ে দিয়ে তোলে। ১০০টা চুল লাগালে সাতানব্বইটা টিকে যায়। হাত দিয়ে করতে গেলে সময় লাগে। জটিলতা হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম।