হার্ট অ্যাটাকের কারণ কী?

Looks like you've blocked notifications!
উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন হার্ট অ্যাটাকের কারণ। ছবি : সংগৃহীত

হার্টের রক্তনালি ব্লকজনিত সমস্যা হয়ে হার্ট অ্যাটাক হয়। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, ধূমপান, মদপান, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ।

হার্ট অ্যাটাকের কারণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩২১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. শফিকুর রহমান পাটওয়ারী। বর্তমানে তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : একজন মানুষ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন কেন?

উত্তর : আসলে হার্টের অ্যাটাক বলতে আমরা যেটি বুঝি, একে আমরা মেডিকোসিস মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বলি। আসলে হার্টে দুটো রক্তনালি থাকে, একটি হলো রাইট (ডান) করোনারি আর্টারি, আরেকটি হলো লেফ্ট (বাম) করোনারি আর্টারি। এই রক্তনালিতে যদি কোনো কারণে চর্বি জমে থাকে, একে প্ল্যাক বা ব্লক বলি আমরা। সেই ব্লকের ওপর যদি রক্ত জমাট বাঁধে, তখন এটি পুরোপুরি ব্লক হয়ে যায়। ১০০ ভাগ ব্লক হলেই যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, অর্থাৎ বুকে ব্যথা বা হঠাৎ করে মৃত্যু হওয়া, এ ধরনের যে পরিস্থিতি হয়, তাকেই আমরা হার্ট অ্যাটাক বলি।

হার্ট অ্যাটাকের কারণ আপনি জানতে চাইছিলেন। আসলে দেখা যায়, যাঁরা ধূমপান করেন বা উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস রয়েছে বা শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি বা পরিবারে যাঁদের হার্টের সমস্যা থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়া স্থূলতা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এগুলোর কারণেও দেখা যায় রক্তনালি ব্লকজনিত হার্টের সমস্যা বেশি হয়।

প্রশ্ন : হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ কী? আর হার্টের রক্তনালি পুরোপুরি বন্ধ না হলেও তো কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, এ সময় আপনারা কী করেন?

উত্তর : পুরোপুরি যদি বন্ধ না হয়, এ ক্ষেত্রে একে স্টাবল এনজাইনা বলা হয়। যেমন : বুকে ব্যথা হচ্ছে, কিছুক্ষণ থেকে আবার ঠিক হয়ে যায়। এগুলোকে আমরা বলি স্ট্যাবল এনজাইনা। আর কখনো কখনো দেখা যায় ব্যথাটা অনেক সময় ধরে থাকে। ২০ বা ৩০ মিনিট ধরে থাকে, কিন্তু সেখানে পুরোপুরি ব্লক হচ্ছে না, তখন আমরা একে বলি আনস্ট্যাবল এনজাইনা। আর যখন ১০০ ভাগ বন্ধ হয়, ব্যথা বেশি সময় থাকে, তাকে আমরা হার্ট অ্যাটাক বলি। এই তিনটি অবস্থা হতে পারে। যদি পুরোপুরি বন্ধ না হয় তখন স্ট্যাবল বা আনস্ট্যাবল অবস্থায় আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, রোগীর বুকে ব্যথা হচ্ছে, কাজ করলে ব্যথা হয়, বিশ্রাম নিলে কমে যায়। সে ক্ষেত্রে আমরা রোগীকে কিছু চিকিৎসা দিই এই ধরনের ব্যথাগুলো কমে থাকার জন্য। আর এ ক্ষেত্রে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হই, তার রক্তনালিতে ব্লকের অবস্থার বিষয়ে। নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা সেভাবে এগোই।