ছানি কোন বয়সে হয়, কাদের হয়?

Looks like you've blocked notifications!
চোখের ছানির বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম নজরুল ইসলাম। ছবি : এনটিভি

চোখের ছানি একটি প্রচলিত সমস্যা। এই সমস্যা কোন বয়সে হয়, কাদের হয়?

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩৮৩তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. এম নজরুল ইসলাম। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আই হসপিটালের গ্লুকোমা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : চোখের ছানি কী? কোন বয়সে, কাদের হয়?

উত্তর : চালশে আর ছানির মধ্যে একটু পার্থক্য রয়েছে। চালশে হলো, চল্লিশ বছর হলে রিডিং গ্লাসের যে সমস্যা, সেটি। আর  ছানি হলো, আমাদের চোখের ভেতর একটি লেন্স রয়েছে, এই লেন্সের সাহায্যে আমরা ফোকাস করতে পারি চোখের রেটিনাতে। রেটিনা থেকে দৃশ্য শেষ পর্যন্ত মস্তিষ্কে যাবে। অপটিক নার্ভের সাহায্যে আমরা দেখতে পাই। এই যে লেন্স, যার কাজ হলো ফোকাস করা, এটি যদি কোনো কারণে ঘোলা হয়ে যায় বা লেন্সের আবরণ যদি ঘোলা হয়ে যায়, তাকে আমরা বলি চোখের ছানি। বয়স বাড়ার কারণে কিন্তু ছানি বেশি হয়। একে বলে সেনাইল ক্যাটারেক্ট।

তবে আরো অনেক কারণ রয়েছে। যেমন : যাদের ডায়াবেটিস, তাদের কিন্তু ছানি পড়ার আশঙ্কা প্রায় ছয় গুণ বেশি। যারা চোখে আঘাত পেয়েছে বা অনেক দিন ধরে চোখে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করছে, সেটা চোখের ড্রপ হোক বা ট্যাবলেট, সেটি দিয়ে, তাদের কিন্তু চোখে ছানি পড়ার আশঙ্কা বেশি।

চোখে যদি কোনো প্রদাহ হয়, তাহলে তাদের চোখে ছানি পড়ার আশঙ্কা বেশি।

কিন্তু যেটি আপনি বলেছেন, ছানির চিকিৎসা কিন্তু একটি। সেটা হলো সার্জিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব রিপ্লেসমেন্ট অব প্লেস।

আপনি যেটি বলেছেন, এই যে লেন্স আমাদের রয়েছে, একে আমরা বের করব, সেখানে আরেকটি কৃত্রিম লেন্স প্রতিস্থাপন করব। এটা হলো সার্জারি। কিন্তু আধুনিক যে চিকিৎসাটা করা হয়, সেটি হলো ফ্যাকো সার্জারি। কীভাবে অস্ত্রোপচারটা করি। আমরা চোখের লেন্সকে দুভাগে ভাগ করি, চার ভাগে ভাগ করি, ছয় ভাগে ভাগ করি, এরপর একে ইমালসিফিকেশন করে গলিয়ে চোখের থেকে বের করে নিয়ে আসি। পরিষ্কার করি। এবং লেন্সটা ওই ছোট ছিদ্র দিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। এই হলো সংক্ষেপে ফ্যাকো সার্জারি বা ছানি অস্ত্রোপচারের চিকিৎসা।

প্রশ্ন : আমরা আগের লেন্সটাই পরিষ্কার করে বসাতে পারছি না কেন ?

উত্তর : কারণ হলো, এটি তো জীবন্ত একটি বিষয়। ওই লেন্সটা ধোয়ার সুযোগ নেই। তার সম্পূর্ণ লেন্সটাই ঘোলা হয়ে যায়। তাই প্রতিস্থাপন ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।