বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস পালিত

বিশ্বে ১৪তম ও বাংলাদেশে ষষ্ঠ বারের মতো পালিত হলো ‘বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস’। দিবসটি উপলক্ষে গত ২১ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে শোভাযাত্রা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ,ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ, জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল ও আমদা বাংলাদেশ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তিরা সমাজেরই অংশ। তারা সমাজের বোঝা নয়। তাদের মূলধারার জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাদের সুবিধা বাড়াতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হাকিম আরিফের সভাপতিত্বে শোভাযাত্রায় ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘ডাউন সিনড্রোম ব্যক্তিদের জন্য যা দরকার তা হলো শিক্ষা, চাকরির সুযোগ, বন্ধুত্ব আর ভালোবাসা। এ চাহিদাগুলো সমাজের আর দশজন মানুষের মতোই। তাদের বিশেষ কোনো চাহিদা নেই। তাদের প্রয়োজন বাড়তি একটু যত্নের।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হাকিম আরিফ বলেন, ‘ডাউন সিনড্রোম মানেই অক্ষমতা নয়, এমনকি ডাউন সিনড্রোম কোনো রোগও নয়। এটি একটি জেনেটিক ভিন্নতা। বিশেষ চাহিদা নয়, মানুষের যে চাহিদাগুলো দরকার, ডাউন সিনড্রোম শিশু ও ব্যক্তিদেরও তাই প্রয়োজন।’
ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সরদার. এ রাজ্জাক বলেন, ‘ডাউন সিনড্রোম বৈশিষ্ট সম্পন্ন ব্যক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যে বিশ্বজুড়ে চলছে নানা প্রয়াস। তাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। আর দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।’
অনুষ্ঠানে ডাউন সিনড্রোম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে এমন সাতজন ব্যক্তিকে ডাউন সিনড্রোম সোসাইটি অব বাংলাদেশ বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।