মেছতা বারবার হলে কী করবেন?
মেছতা ত্বকের একটি জটিল সমস্যা। সাধারণত ত্বকে ব্যবহার করার ক্রিম, কেমিক্যাল পিল ইত্যাদি দিয়ে মেছতার চিকিৎসা করা হয়।
অনেকের ক্ষেত্রে মেছতা বারবার হতে পারে। সাধারণত জিনগত সমস্যার কারণে যাদের মেছতা হয়, তাদের ক্ষেত্রে চিকিৎসা করার পরও বারবার হতে পারে। এ ক্ষেত্রে করণীয় কী, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩৮৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ফারিয়াল হক।
ডা. ফারিয়াল হক বর্তমানে প্রেসক্রিপশন পয়েন্টে চর্ম ও যৌন বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মেছতার চিকিৎসা বন্ধ করে দিলে কি পুনরায় মেছতা হয়?
উত্তর : কাদের বাড়ছে? সেটি আমি আগে বলি। যারা সূর্যের আলোর সংস্পর্শে বেশি যাচ্ছে, যাদের থাইরয়েড রোগ রয়েছে, যারা জন্মনিরোধক ওষুধ খাচ্ছে, তাদের বাড়ছে। তবে আমি তো সেগুলো প্রথমে সব ঠিক করে নেব। এর পর আমি মুখে লাগানোর ক্রিম ব্যবহার করব। এরপর আমি এর সঙ্গে কেমিক্যাল পিল যোগ করব।
এরপরও যেটি হয়, সম্পূর্ণ মেছতার রোগীদের মধ্যে ৫০ ভাগ রোগীর মেছতা জিনগত কারণে হয়। ৫০ ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায় মায়ের ছিল, না হয় নানির ছিল, বোনের রয়েছে, না হয় খালার রয়েছে। তাই জিনগত কারণে হওয়া মেছতা নিয়ে যেসব রোগী আমাদের কাছে আসে, সেটার চিকিৎসা একটু সীমাবদ্ধ হয়ে যায়।
এর ক্ষেত্রে আপনি যেটি বললেন, বারবার চিকিৎসা করছি বারবার ফিরে আসছে। এ ক্ষেত্রে রোগীকে আমরা ব্যবস্থাপনা থেরাপি দিই। আসলে জিনগত মেছতাকে আমরা বলি ডায়াবেটিসের মতো। একজন ডায়াবেটিসের রোগী সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যাবে, সেটি কিন্তু নয়। সারা জীবন তার জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে রাখতে হবে। জিনগত মেছতাটাও কিন্তু এ রকম। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পর আমরা বলি, সানব্লক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে, অবশ্যই ব্রড এক্সপেকটাম। এর অর্থ হলো ইউভিএ, ইউভিবির সমন্বয় থাকতে হবে সানব্লকে। অবশ্যই এসপিএফ ৩০-এর ওপরে হতে হবে।
হাইড্রোকুইনন ক্রিম দুই মাসের বেশি ব্যবহার করা যায় না। তাই এ ক্ষেত্রে এমন একটি ক্রিম দেব, যেটি তিনি সারা জীবন ব্যবহার করতে পারবেন। এই ক্রিমে হয়তো গ্লাইকোলিক এসিড থাকবে এক থেকে দুই শতাংশ। অথবা এসিলিক এসিড থাকবে। এ ধরনের একটি ব্যবস্থাপনা থাকবে। এতে জ্বালাপোড়ার তেমন কোনো সমস্যা হয় না। এখন নতুনভাবে বাজারে অনেক কিছু এসেছে। একজন মেছতার রোগী সেগুলো সারা জীবন ব্যব্হার করতে পারবে। তাই সেগুলো ব্যবহার করবে। পাশাপাশি সানব্লক থাকছে। সঙ্গে আমরা জীবনযাপনের কিছু ধরন পরিবর্তন করতে বলি। যেমন : বেশি বেশি করে পানি পান করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা। এতে শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থগুলো বের হয়ে যায়। তখন ত্বক অনেক উজ্জ্বল দেখায়।