পায়ে খিল ধরে কেন, সমাধানের উপায় কী?

Looks like you've blocked notifications!
পায়ে খিল ধরা বা লেগ ক্র্যাম্প খুব ব্যথাযুক্ত একটি সমস্যা। ছবি : সংগৃহীত

পায়ে খিল ধরা বা লেগ ক্র্যাম্প খুব ব্যথাযুক্ত একটি সমস্যা। সাধারণত মধ্য বয়স্ক ও প্রবীণদের এ সমস্যা বেশি হয়। বিশেষত, রাতে ঘুম ভাঙার পর এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।  কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট এটি স্থায়ী হয়।

পায়ে খিল ধরার কারণ ও করণীয় বিষয়ে জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।

কারণ

১. অনেক সময় পানিশূন্যতা থেকে পায়ের পেশিতে খিল ধরার সমস্যা হতে পারে।

২. গর্ভাবস্থায় অনেকের ক্ষেত্রে এ সমস্যা হয়।

৩. অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস পায়ে খিল ধরার অন্যতম কারণ।

৪. অপুষ্টিও পায়ে খিল ধরার অন্যতম একটি কারণ। বিশেষ করে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে এই সমস্যা হতে পারে।

৫.  থাইরয়েডের সমস্যা, বিশেষ করে থাইরয়েড হরমোন কমে গেলে পায়ে খিল ধরতে পারে।

৬. এ ছাড়া টানা দাঁড়িয়ে থাকলেও পায়ে খিল ধরার সমস্যা হয়।

সমাধানের উপায়

১. পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা ও স্বাস্থ্যকর তরল খাওয়ার মাধ্যমে পানিশূন্যতা কমাতে হবে।

২. ইলেকট্রোলাইট সমৃদ্ধ স্পোর্টস ড্রিংক এই সমস্যা সমাধানে উপকারী।

৩. মদ্যপান, অতিরিক্ত কফি-চা পান শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে; পায়ে খিল ধরার ঝুঁকি বাড়ায়। তাই এই ধরনের পানীয় কম পান করাই ভালো।

৪.  ব্যথা কমাতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পেশি ম্যাসাজ করতে পারেন।

৫. ব্যথা কমাতে গরম পানির স্যাঁক দেওয়া যেতে পারে।

৬. খাদ্যতালিকায় পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে রাখুন। এ ক্ষেত্রে কলা, খেজুর, আঙুর, ব্রকলি, বাঁধাকপি, কমলা, মাছ ইত্যাদি রাখতে পারেন।

৭. পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। বাদাম, বীজজাতীয় খাবার ম্যাগনেসিয়ামের চমৎকার উৎস।

৮. গর্ভাবস্থায় এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন।