স্টেম সেল দিয়ে কি অকেজো কিডনি সুস্থ করা যায়?

Looks like you've blocked notifications!
স্টেম সেল থেরাপি এবং কিডনির সুস্থতার বিষয়ে আলোচনা করেছেন ডা. হারুন অর রশিদ ও ডা. সানজিদা হোসেন। ছবি : এনটিভি

একটি কোষ থেকে অনেকগুলো কোষ তৈরির মাধ্যমে চিকিৎসা করার এক ধরনের পদ্ধতিকে স্টেম সেল থেরাপি বলে। তবে এই পদ্ধতি এখনো গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে।

অনেকের মতে, স্টেম সেল থেরাপি দিয়ে অকেজো কিডনি সুস্থ করা যায়। তবে বিষয়টি আসলেই কি সঠিক? নাকি এখনো বিষয়টি গবেষণার খুব প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে?

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩৯৮তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. হারুন অর রশিদ। বর্তমানে তিনি কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটে কিডনি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : স্টেম সেল থেরাপি আসলে কী?

উত্তর : আসলে গত ২০ বছর ধরে স্টেম সেলের গবেষণা চলছে। একটি কোষকে কীভাবে অনেকগুলো কোষে তৈরি করা যায়, এ নিয়ে গবেষণা।

প্রশ্ন : এখন অনেক সময় অনেকে বলে তুমি কিডনি প্রতিস্থাপন করিয়েছ কেন? স্টেম সেল থেরাপি তো ছিলই। ধারণাটি আসলে সত্য না মিথ্যা, আপনার কাছ থেকে একটু জানতে চাইব?

উত্তর : যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, ইউরোপের সব দেশ, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি ২০ বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এখনো কিন্তু পরিপূর্ণভাবে কিডনি, লিভার, হার্ট তৈরি করতে পারেনি।

বাংলাদেশে এ ধরনের একটি প্রচারণা চলছে। এটি প্রাণিজ গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। মানুষের মধ্যে দেওয়ার জন্য প্রশ্নই ওঠে না। যেমন ধরুন, ডায়াবেটিস কিডনি রোগ হলে ডায়াবেটিসের বিটাসেলকে স্টেম সেল দিয়ে ডায়াবেটিস নির্মূল করারও চেষ্টা চলছে। তবে এটিও সফলতা পায়নি। তাই বাংলাদেশে তো সফল হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এটা একটু ভুয়া ধারণা। অসাধু কিছু মহল এটি করতে যাচ্ছে। সরকারের উচিত এগুলো পরীক্ষা করা। এবং তারা আসলে কী করছে, এটি তাদের জানিয়ে দেওয়া উচিত।

একজন কিডনি অকেজো রোগী তো আসলে প্রাণে বাঁচতে চায়। সে বাঁচার জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের কাছে হয়তো চলে যায় বা অন্য কোথাও চলে যায়। তারা যখন দেখছে, মানুষজন কিডনি ভালো করার ক্ষেত্রে স্টেম সেলের কথা বলছে, তখন সেখানে ছুটে যাচ্ছে। এর কোনো কার্যকারিতা এখনো মানবদেহে নেই। এটি একটি প্রতারণামূলক কাজ। রোগীদের অনুরোধ করব, অপচিকিৎসকের কাছে গিয়ে দুটো কিডনি তাড়াতাড়ি হারাবেন না।