গাঁটের ব্যথায় এড়িয়ে যান চার খাবার

Looks like you've blocked notifications!
গাঁটে ব্যথা হলে লাল মাংস এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ছবি : সংগৃহীত

জয়েন্ট পেইন বা গাঁটে ব্যথা প্রচলিত একটি সমস্যা। তৈলাক্ত মাছ, আদা, রসুন, ব্রকলি, ওয়ালনাট ইত্যাদি গাঁটে ব্যথার রোগীদের জন্য উপকারী খাবার। তবে কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো গাঁটে ব্যথা ও প্রদাহ বাড়ায়।

গাঁটের ব্যথা ও প্রদাহ বাড়াতে পারে এমন কিছু খাবারের নাম জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।

১. প্রক্রিয়াজাত মাংস বা লাল মাংস

প্রক্রিয়াজাত মাংস ও লাল  মাংসে ( গরু, খাসি) এক ধরনের প্রোটিন থাকে যাকে পিউরিন বলে। এগুলো গাউটের লক্ষণকে বাড়িয়ে দিতে পারে। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবারে বিষাক্ত পদার্থ থাকে। এতে প্রদাহ বাড়ে।

২. পরিশোধিত ও কৃত্রিম চিনি

বেশি চিনি খাওয়া শরীরের প্রদাহ বাড়িয়ে দেয়। উচ্চ পরিমাণ ক্যালরি থাকার কারণে চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ওজন বাড়ে। এটি গাঁটের ওপর চাপ তৈরি করে এবং ব্যথা বাড়ায়। তাই গাঁটে ব্যথা হলে এ ধরনের খাবার কম খাওয়াই ভালো।

৩. দুগ্ধ জাতীয় খাবার

দুধ ও দুগ্ধ জাতীয় খাবার (যেমন : পনির, মাখন ইত্যাদি) থেকেও গাঁটে ব্যথা হতে পারে। এর মধ্যে থাকা উচ্চ পরিমাণ ক্যাজেইন (প্রোটিন) প্রদাহ ও ব্যথা বাড়ায়।

ফিজিশিয়ান কমিটি ফর রেসপনসিবল মেডিসিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়,এই ধরনের প্রোটিন গাঁটের আশপাশের টিস্যুকেও সমস্যায় ফেলে। এ ছাড়া ননিযুক্ত দুগ্ধ জাতীয় খাবারে রয়েছে স্যাচুরেটেড চর্বি। এটি টিস্যুর প্রদাহ বাড়ায়।

তবে যারা গাঁটের ব্যথার সমস্যায় ভুগছেন কেবল তাদের এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। আর যদি এই ধরনের ব্যথা বা প্রদাহ না থাকে তাহলে দুধ খাওয়া ভালো। কেননা দুধ হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে কাজ করে।

 ৪. পরিশোধিত লবণ

পরিশোধিত লবণ, যাকে বলা হয়, টেবিল সল্ট, এটি শরীরের জন্য ভালো নয়। বিশেষ করে গাঁটে ব্যথার রোগীদের ক্ষেত্রে এটি অপকারী।

পরিশোধিত লবণে রয়েছে এডিটিভস ও ক্যামিক্যাল। এটি শরীরের তরলের ভারসাম্যে ঝামেলা তৈরি করে। তাই গাঁটে ব্যথা থাকলে পরিশোধিত লবণ কম খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এর বিকল্প হিসেবে সি সল্ট বা পিংক হিমালয়া সল্ট খেতে পারেন।