কীভাবে ব্রণ কমানো যায়?

Looks like you've blocked notifications!
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। ছবি : সংগৃহীত

অতিরিক্ত ফাস্টফুড খাওয়া, কসমেটিকস বেশি ব্যবহার করা, মানসিক চাপ ইত্যাদি ব্রণ বাড়াতে পারে।  ব্রণ কমাতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা খুব জরুরি।

ব্রণ কমাতে জীবনযাত্রা কেমন হওয়া প্রয়োজন, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩৭৯তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. এস এম বখতিয়ার কামাল। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চর্ম ও যৌন বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : ব্রণের চিকিৎসা কীভাবে করেন?

উত্তর : ব্রণের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথমে সাধারণ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়। ব্রণ কেন হচ্ছে, এটি আমাদের বুঝতে হবে। জীবনযাত্রার পরিবর্তন খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্রণ কিন্তু এই যুগে বেশি। আমরা গ্রামে বড় হয়েছি, কাজিনরা ছিল, তাদের কিন্তু অত ব্রণ হতো না। কারণ, আমরা প্রচুর সবজি খেতাম, হাঁটাহাঁটি করতাম। আমরা পারত পক্ষে কোনো কসমেটিকস ব্যবহার  করতাম না। তবে এই যুগে ব্রণ বেশি। কারণ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ফাস্টফুড খাওয়া,  হাঁটাহাঁটি না করা, মানসিক চাপযুক্ত জীবন।

আসলে ব্রণের রোগীরা কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারবে না। তাহলে কী ব্যবহার করতে পারবে? পানি দিয়ে বারবার মুখ ধোবে। কারণ, ব্রণের রোগীর মুখে অত্যধিক তেল থাকে। এই তেল মুক্ত করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করবে, শাক-সবজি খাবে, ছোট মাছ খাবে, দেশী ফল খাবে। নিয়মিত হাঁটবে, ব্যায়াম করবে। মুখে কোনো কসমেটিকস লাগাবে না। রোদে গেলে ছাতা বা ক্যাপ ব্যবহার করবে।

অল্প পরিমাণ ব্রণ থাকলে আমরা কিছু মুখে লাগানোর ওষুধ দিতে পারি। আর বেশি ব্রণ থাকলে এই ওষুধের পাশাপাশি খাওয়ার ওষুধ দিতে হবে।

প্রশ্ন : ব্রণ খুঁটানো কি ঠিক?

উত্তর : আসলে এটি ঠিক নয়। অনেকে ভাতের মতো বা শাল বের করে ফেলে। অনেকে মনে করে, এটি বের না করলে থেকে যায়। আসলে কিন্তু থাকে না। আমাদের শরীরের বাইরের কোনো জিনিসই রাখে না। এই শালটা আপনাআপনি বের হয়ে যায়। রোগী হয়তো টের পায় না। হয়তো গোসলের সময় বের হয়, হয়তো বা রাতে বালিশের সঙ্গে ঘষা লেগে বের হয়। এখন অনেক রোগী বের করে ফেলে।

আমাদের নখে প্রচুর ব্যাক্টেরিয়া থাকে। এতে ব্রণ খুঁটালে সংক্রমণ হয়ে যায়। তাই বের না করাটাই ভালো। কারণ, অন্যান্য সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।