রুট ক্যানেল কখন করতে হয়?
রুট ক্যানেল দাঁতের একটি আধুনিক চিকিৎসা। ফিলিং করে দাঁত ভালো রাখা না গেলে রুট ক্যানেল চিকিৎসা করতে হয়।
রুট ক্যানেল চিকিৎসার বিভিন্ন বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪১৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. সৈয়দ তামিজুল আহসান রতন। বর্তমানে তিনি রতনস ডেন্টালে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কখনো কখনো দেখা যায় ফিলিং দিয়ে আর কাজ হচ্ছে না। তখন করণীয় কী?
উত্তর : এখন কথা হলো, ফিলিংয়ের কতগুলো পর্যায় রয়েছে, এগুলো রোগীকে বুঝতে হবে। সে যদি নিয়মিত চেকআপের মধ্যে থাকে, তাহলে কোনোদিন এটি খারাপের দিকে যাবে না। আর যদি যায়, তাহলে প্রথম লেয়ারটা হলো এনামেল, এটি ক্ষয় হলে কিছুই বোঝা যাবে না। দ্বিতীয় লেয়ার ক্ষয় হলে আস্তে আস্তে স্পর্শকাতর হয়ে যায়। এরপর পাল্পে যখন আসে, তখন খুবই স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে। এর লক্ষণ হলো, ঠাণ্ডা, গরম, মিষ্টি খেলে সমস্যা হওয়া। তখন তার এক ধরনের ব্যথা তৈরি হতে পারে।
যখন এ রকম ব্যথা হয়, দাঁত শিরশির করে, এক-দুদিন আমরা অস্থায়ী ফিলিং দিয়ে দেখি। সাতদিন থেকে ১৪ দিনের মধ্যে রোগীর কোনো অভিযোগ না থাকলে, একটা লেয়ার রেখে এর ওপর আমরা স্থায়ী ফিলিং দিতে পারি। এটিও কম্পোজিট ফিলিং।
আর যদি দেখা যায় রোগীর ব্যথা উঠছে। তখন আমরা আর কখনো অস্থায়ী ফিলিংয়ের ধার ধারি না।
প্রশ্ন : তখন কী করতে হবে?
উত্তর : তখন দাঁতটি রাখতে চাইলে আমরা রুট ক্যানেল চিকিৎসা করি। মানুষের একটি ধারণা রয়েছে, রুট ক্যানেল চিকিৎসায় অনেক ব্যথা হয়। আমি অন্তত বলতে পারব, রুট ক্যানেল যারা করি, ব্যথাহীন অবস্থায় করি। বিশেষজ্ঞদের সাধারণত পাঁচ থেকে ১০ মিনিটের বেশি সময় রুট ক্যানেল করতে লাগে না।
মানুষ রুট ক্যানেলের কথা শুনলে চিৎকার দিয়ে উঠে। আসলে এটি তেমন ভয়াবহ কিছু নয়। এটি ব্যথাহীন চিকিৎসা। এটি করলে দাঁতটা তখন রাখা যাবে। অনেক ক্ষেত্রে এক সিটিংয়েই হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে দুই বা তিন সেটিং লাগে। তবে খুব এক্সপার্ট লোকেরা এক সিটিংয়েই করতে পারে।
প্রশ্ন : দাঁত খুব সংক্রমিত হলে কী করেন?
উত্তর : খুব সংক্রমিত হলে ফ্ল্যাপ সরিয়ে রুট ক্যানেল করা হয়।