ছানি কেন হয়?

Looks like you've blocked notifications!
চোখের ছানির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ডা. জাকিয়া সুলতানা ও ডা. সানজিদা হোসেন। ছবি : এনটিভি

চোখের ছানি একটি প্রচলিত সমস্যা। সাধারণত ৪০ বছরের পর থেকে এই সমস্যা বেশি হয়। চোখের ছানি কেন হয়, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪২৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. জাকিয়া সুলতানা। 

বর্তমানে ডা. জাকিয়া সুলতানা আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চক্ষু বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : চোখের ছানি কি?

উত্তর : চোখকে যদি আমি একটি বলের সঙ্গে তুলনা করি, এর বাইরে তিনটি পর্দা রয়েছে। চোখের ভেতরে বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র রয়েছে। ঠিক চোখের সামনের দিকে কর্নিয়ার কাছাকাছি একটি পর্দা রয়েছে। এই পর্দাটা হলো ট্রান্সপারেন্ট (স্বচ্ছ)। মানে যার মধ্য দিয়ে আলো সহজে যেতে পারে। এই ট্রান্সপারেন্ট পর্দাটা যখন ঘোলা হয়ে যায়, তখন আমরা বলি চোখে ছানি পড়েছে। এই স্বচ্ছ পর্দার নাম হলো চোখের লেন্স। এর ঘোলাটে হয়ে যাওয়াটাই ছানি। বিভিন্ন কারণে এই ঘোলা হয়।

প্রশ্ন : কী কী ধরনের ছানি রয়েছে?

উত্তর : যেমন জন্মগত ছানি। কনজেনিটাল ক্যাটারেক্ট বলি আমরা। এটি হলো, বাচ্চার জন্ম হয়েছে ছানি নিয়ে। এরপর চোখে ব্যথা পেয়েছে, তারপরও ছানি হতে পারে। চোখের ভেতরে কোনো সংক্রমণ হলো, সেই সংক্রমণের কারণে ছানি হয়ে গেল। আবার শরীরের বাইরে অন্য অংশে কোনো রোগ রয়েছে, এই রোগের জন্য চোখে ছানি পড়ে গেল। বয়স বাড়ছে, একটি বয়সের পর আস্তে আস্তে চোখে ছানি পড়ছে। আবার ধরুন, ত্বকের রোগ। অনেকদিন ধরে কেউ ত্বকের রোগে ভুগছে, তাঁর ছানি হতে পারে। স্টেরয়েড ব্যবহার করছে, অনেক দিন ধরে, তাঁর চোখে ছানি পড়ে যাচ্ছে। এগুলো হলো চোখের ছানি পড়ার কারণ। যারা এসব জিনিসের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকেন, তাঁদের ছানি পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।