হাত ধোয়া কেন জরুরি, কখন ধুতে হবে?
আজ বিশ্ব হ্যান্ড হাইজেনিক ডে। ২০০৯ সাল থেকে এই দিবসটি পালন করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আমাদের হাতের পাঁচটি আঙুলকে প্রতীকী হিসেবে ধরে প্রতিবছর মে মাসের ৫ তারিখে এই দিবসটি পালন করা হয়।
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. শাকিল মাহমুদ বলেন, ‘নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস সংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্য সহজ ও অত্যন্ত কার্যকর উপায়। নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস অনেক সংক্রামক ব্যাধি থেকে মুক্তি দিয়ে অকালমৃত্যু প্রতিরোধে সাহায্য করে।’
হাত ধোয়া কেন জরুরি, কখন হাত ধুতে হবে—এসব বিষয়ে ডা. শাকিল মাহমুদের পরামর্শ :
হাত ধোয়া কেন জরুরি?
ডব্লিউএইচওর মতে, বিশ্বের অধিকাংশ শিশু মারা যায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে। হাত ঠিকঠাকমতো না ধুলে ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, জন্ডিস, পেটের পীড়া, কৃমিসহ বিভিন্ন রোগ হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই হাত ধোয়া জরুরি।
হাত কখন ধুবেন?
- অনেকেই খাবার খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোন না। এটি ঠিক নয়। খাবার খাওয়ার আগে ও পরে অবশ্যই সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুতে হবে।
- যেকোনো খাবার হাত দিয়ে ধরার আগে বা রান্না করার আগে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
- কাঁচা মাছ, কাঁচা মাংস, দুধ, ডিম, শাকসবজি স্পর্শ করার পরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
- পায়খানার পর, শিশুর ডায়পার পরিবর্তনের পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
- যেকোনো পশু-পাখি ধরার পর সাবান দিয়ে হাত ধোবেন।
- আবর্জনা স্পর্শ করার পর সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
- হাত দিয়ে নাক পরিষ্কার করার পর অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন।
হাত ধোয়ার সঠিক নিয়ম
হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত হাতের দুই দিক ভালোভাবে পরিষ্কার করি না। এটি ঠিক নয়। অ্যালকোহলযুক্ত সাবান দিয়ে হাত ধুলে ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে। আর সাধারণ সাবান ব্যবহার করলে ৪০ থেকে ৪৫ সেকেন্ড ধুতে হবে।
হাতের এপিঠ-ওপিঠ ভালোভাবে ধুতে হবে। আঙুলের ফাঁক পরিষ্কার করা জরুরি। হাত ধোয়ার পর পানির কল বন্ধ করার সময় ডান হাত ব্যবহার করবেন না। টিস্যু দিয়ে বা বাঁ হাত দিয়ে বন্ধ করুন। সবাই যে তোয়ালে দিয়ে হাত মোছে, সেই তোয়ালে ব্যবহার না করাই ভালো। টিস্যু বা ব্যক্তিগত রুমাল ব্যবহার করুন।