রোজার সময় মাথাব্যথা : কেন হয়, প্রতিরোধের উপায়

Looks like you've blocked notifications!
রোজার সময় মাথাব্যথা প্রতিরোধে ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ছবি : সংগৃহীত

রোজার সময় অনেকেই মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগে। মাথাব্যথার কয়েকটি ধরন রয়েছে । এর মধ্যে অন্যতম দুটি হলো, টেনশনটাইপ হেপঅ্যাক ও মাইগ্রেন।

সাধারণত ৯৫ ভাগ মানুষের এসব মাথাব্যথা হয়। আর পাঁচ ভাগ মানুষের অন্যান্য কারণে মাথাব্যথা হয়ে থাকে। যাদের আগে থেকে মাথাব্যথার রোগ রয়েছে, তাদের রোজার সময় ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। তবে যাদের মাথাব্যথার সমস্যা নেই, রোজার সময় তাদেরও ব্যথা বেড়ে যায়। বিশেষ করে রোজার প্রথম দিকে।

রোজার সময় মাথাব্যথা হয় কেন?

রোজার সময় মাথাব্যথা হয় কেন, এ বিষয়ে কথা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু। তিনি বলেন, ‘রোজার সময় মাথাব্যথার কারণ হলো, পানিশূন্যতা, শরীরে গ্লুকোজের অভাব ও ঘুমের অসুবিধা। যাদের আগে থেকে মাথাব্যথার রোগ নেই, তাদের মাথাব্যথা হওয়ার কারণ আসলে এগুলো।’

ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু আরো বলেন, ‘এখন তো অনেক দীর্ঘ সময় রোজা। তাই শরীরে পানিস্বল্পতা দেখা দেয়। মস্তিষ্কে পানি সরবরাহ কমে যায়। এ কারণে ব্যথা হয়। আবার ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা না খেয়ে থাকার কারণে শরীরের গ্লুকোজের ঘাটতি হয়। এ জন্য মস্তিষ্কেও গ্লুকোজ কমে যায়। যেহেতু গ্লুকোজ ছাড়া মস্তিষ্ক চলতে পারে না, তাই এর অভাবে মাথাব্যথা দেখা দিতে পারে।

আরেকটি বিষয় হলো ঘুমের অসুবিধা। যেহেতু রাতে জাগা হয়, তাই ঘুমের সমস্যার কারণে মাথাব্যথা হতে পারে।’

প্রতিরোধ

রোজার সময় মাথাব্যথা প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে ডা. হিমু বলেন,

‘ইফতার থেকে সেহরিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি অন্যান্য তরল খাবার বেশি খেতে হবে। খাবারে শর্করাজাতীয় খাবার থাকতে হবে। ইফতারে মিষ্টি রাখা যেতে পারে।’

ঘুমের সমস্যা কমাতে আগে থেকে একটি পরিকল্পনা করা যেতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যাদের অনেক রাত পর্যন্ত জাগার অভ্যাস, তারা এটি না করে আগেভাগে ঘুমিয়ে পড়ুন। অন্তত  সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন। আর যারা আগে থেকে মাথাব্যথার ওষুধ খান, তাদের নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে। ওষুধ বাদ দেওয়া যাবে না। অনেকের তিনবেলা ওষুধ খেতে হয়। এ ক্ষেত্রে সকালের ওষুধ সেহরির সময়, দুপুরে ওষুধ ইফতারের সময়, আর রাতের ওষুধ ঘুমানোর আগে খেতে হবে। আর যাদের সাধারণ মাথব্যথা তারা প্যারাসিটামল বা ব্যথানাশক ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে  খেতে পারেন।’

এরপরও সমস্যা থেকে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বলে পরামর্শ তাঁর।