মাথাব্যথার চিকিৎসায় কী করবেন?
মাথাব্যথা সাধারণ থেকে জটিল কারণে হয়। মাথাব্যথার চিকিৎসায় করণীয় বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. এইচ এন সরকার।
বর্তমানে ডা. এইচ এন সরকার গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪১৫তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।
প্রশ্ন : টেনশন টাইপ হেডঅ্যাক ও সাইনোসাইটিস জনিত মাথাব্যথার পার্থক্য কী?
উত্তর : এগুলোকে আমরা সাধারণত রেফার্ড হেডঅ্যাক বলি। সাইনোসাইটিসের জন্য মাথাব্যথা হলে এটি হবে ভোতা, টানা ব্যথা। এটি কপালে হয়। দাঁতের যদি ব্যথা হয়, এর সঙ্গেও মাথাব্যথা হতে পারে। ট্রাইজামিনাল নিউরালজিয়া নামের একটি ব্যথা রয়েছে, একে মাথাব্যথার সঙ্গে মুখ ব্যথা বলি। এখানে ইলেকট্রিক শকের মতো ব্যথা হয়। এর তীব্রতা বেশি, তবে সময় খুব কম। এখানে যেখান থেকে ব্যথার উৎপত্তি সেখান থেকে ব্যথা হয়।
আবার যদি চোখের প্রেশার বেড়ে যায়, সেই ক্ষেত্রেও মাথাব্যথা হতে পারে। পাশাপাশি চোখের কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। চোখটা লাল হয়ে যায়, চোখের মণি মাঝ বরাবর প্রসারিত হয়ে থাকে।
প্রশ্ন : একজন রোগী মাথাব্যথা নিয়ে আসলে কী কারণে মাথাব্যথা হয়েছে এটি কীভাবে নির্ধারণ করে থাকেন? আর কী চিকিৎসা এখানে প্রযোজ্য?
উত্তর : চিকিৎসাটা নির্ভর করে তাঁর মাথাব্যথার ধরনের ওপর। যদি প্রাইমারি হেডঅ্যাক হয়, যেমন টেনশন হেডঅ্যাক, তখন রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। রোগীর বুঝতে হবে তার মাথাব্যথাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়েছে এবং সব পরীক্ষা করার পর সীদ্ধান্তে আসা হয়েছে, এটি জটিল কিছু নয়।
তবে কিছু কিছু ট্রিগার ফেক্টর রয়েছে, যেগুলোর কারণে মাথাব্যথা বাড়ে। এগুলোকে এড়িয়ে চলতে হবে। যেমন : মানসিক চাপ, অনিদ্রা, রক্তের গ্লুকোজ কমে যাওয়া যেটা- হাইপোগ্লাইসেমিয়া, শরীরের পানির স্বল্পতা-এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে যদি টেনশন হেডঅ্যাক হয়, সেক্ষেত্রে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। তবে যেগুলো সেকেন্ডারি হেডঅ্যাক হলে নির্দেশ করে, যেমন ৫০ বছরের পর মাথাব্যথা, মাথার সঙ্গে বমি, জ্বর -এগুলো থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অবশ্যই কারণ নির্ধারণ করে চিকিৎসা দিতে হবে।