কী কী কারণে ঘাড়ব্যথা হয়?

Looks like you've blocked notifications!
ঘাড়ে ব্যথার কারণের বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. নুরুজ্জামান খান। ছবি : এনটিভি

ঘাড়ব্যথা একটি প্রচলিত সমস্যা। সাধারণ কারণ থেকে অনেক জটিল কারণের জন্য ঘাড়ব্যথা হতে পারে।

ঘাড়ব্যথার বিভিন্ন কারণের বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪৪৪তম পর্বে কথা বলেছেন  ডা. নুরুজ্জামান খান। বর্তমানে তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : ঘাড়ব্যথার প্রধান কারণগুলো কী?

উত্তর : আমাদের ঘাড়ে যে ব্যথা হয়, এটি হওয়ার একমাত্র কারণ, এখানে যে মেরুদণ্ড রয়েছে, সেই মেরুদণ্ডের কোনো সমস্যা। মেরুদণ্ডের চারপাশের যে গঠন, পেশি এর কোনো সমস্যার জন্য ঘাড়ব্যথা হয়। সাধারণত ছোটখাটো ঘাড়ের ব্যথা পেশির সমস্যার জন্য হয়। বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে যদি কেউ একই রকম অঙ্গবিন্যাসে থাকে, তখন ব্যথা হতে পারে বা কোনো আঘাত যদি   পেশিতে লাগে, এর জন্যও ব্যথা হতে পারে। এগুলো কিন্তু ছোটখাটো চিকিৎসাতেই ভালো হয়ে যায়। কিন্তু যদি মেরুদণ্ডের সমস্যা হয়, তাহলে অসুবিধা হতে পারে।

এখানে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? যে হাড় রয়েছে সেখানে সমস্যা হতে পারে বা যে স্নায়ুরজ্জু রয়েছে, এখান থেকে সমস্যা হতে পারে। এখান থেকে যে স্নায়ুটা বের হয়ে হাতের দিকে আসে, এর সমস্যার জন্য ব্যথা হতে পারে। ঘাড়ের সমস্যার কারণে হাতে ব্যথা হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

ঘাড়ের যে মেরুদণ্ড রয়েছে, সে হাড়গুলোর মধ্যে যে জোড়াটা রয়েছে, সেখানে ডিস্কগুলো ফেটে ভেতরের উপাদানগুলো বাইরে বের হয়ে আসতে পারে। দেখা যায়, এ কারণে ঘাড়ে ব্যথা হচ্ছে। এখানে আরেকটি বিষয় বলে রাখতে হবে, যদি এই প্যাথলজি বা সমস্যাটা মেরুদণ্ডের মাঝখানে হয়, তাহলে এটি স্নায়ুরজ্জু ও স্পাইনাল কর্ডকে চাপ দেয়। দেখা যায়, তার চার হাত-পা অবশ হয়ে আসে। হাত-পায়ের দুর্বলতা তৈরি হয়। একে আমরা বলি মাইলোপ্যাথি। এটি একটি সমস্যা।

আরেকটি হলো, যদি এই সমস্যাগুলো বা প্যাথলজিটা একটি পাশে হয়, মেরুদণ্ডের একটি পাশে, তাহলে দেখা যায়, ওই পাশে যে স্নায়ু রয়েছে, সেটি বরাবর ব্যথাটা হাতে আসে। তখন একে বলা হয় ব্রেকালজিয়া। যেমন, পায়ে বলি সায়াটিকা, এখানে বলি ব্রেকালজিয়া। এই যে মাইলোপ্যাথি ও ব্রেকালজিয়া দুটোর সমন্বয়ও হতে পারে।

এই যে বিষয়গুলো হচ্ছে, এর একটি হলো ডিস্কের সমস্যা। এটি সবচেয়ে প্রচলিত একটি সমস্যা। অন্যদিকে আবার ঘাড়ে যদি আঘাত লাগে, যে স্নায়ুরজ্জু বা স্পাইনাল কর্ড রয়েছে, সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এর জন্য সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি সেখানে যদি সংক্রমণ হয়, টিবি হতে পারে। এর জন্য কিন্তু সেখানে ব্যথা হতে পারে। একই রকম সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অন্যদিকে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের জন্য সমস্যা হতে পারে। হাড় একটি থেকে আরেকটি সরে যাওয়ার জন্য হতে পারে।

আরেকটি সমস্যা এখানে হয়, একে আমরা বলি ওপিএল। ওখানে যে পর্দা থাকে, সেটি যদি হাড়ে রূপান্তরিত হয়ে যায়, তখনো দেখা যায় এটি স্নায়ু ও শিকড়ের মধ্যে চাপ তৈরি করে ব্যথা করে।