কিডনি নষ্ট করে অ্যান্টাসিড

Looks like you've blocked notifications!
এসিডিটির (পাকস্থলীর অম্লতায়) অন্যতম কার্যকরী এমন ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে সেবনে কিডনি (বৃক্ক) নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ছবি : রয়টার্স

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রীত ওষুধের ধরনের একটি হলো অ্যান্টাসিড। উপমহাদেশের অন্যান্য দেশগুলোতেও এ ধরনের ওষুধের প্রাধান্য দেখা যায়। এসিডিটির (পাকস্থলীর অম্লতায়) অন্যতম কার্যকরী এমন ওষুধ দীর্ঘদিন ধরে সেবনে কিডনি (বৃক্ক) নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া আছে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। সম্প্রতি একাধিক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে।

অ্যান্টাসিড-জাতীয় ওষুধ সেবন এবং এর ফলে শরীরের ওপর প্রতিক্রিয়া নিয়ে দুটি গবেষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন গবেষক। চিকিৎসা সাময়িকী ‘জার্নাল অব দি আমেরিকান সোসাইটি অব নেফরোলজি’তে এই সংক্রান্ত গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ‘আর্থেরোসক্লেরোসিস রিস্ক ইন কমিউনিটিসি স্টাডি’ নামক প্রথম গবেষণা চালানো হয় ১০ হাজার ৪৮২ মানুষের ওপর। এতে দেখা যায়, অ্যান্টাসিড-জাতীয় ওষুধ ব্যবহারকারীদের গুরুতর কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অ্যান্টাসিড ব্যবহার করে না এমন ব্যক্তিদের চেয়ে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বেশি। এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই ছিলেন শ্বেতাঙ্গ, স্থূল এবং উচ্চরক্তচাপজনিত রোগের ওষুধ সেবনকারী। দ্বিতীয় গবেষণাটি চালান যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের ইউনিভার্সিটি অব বাফেলোর গবেষক প্রদীপ অরোরা। তাঁর গবেষণায়ও অ্যান্টাসিড ব্যবহারে কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।

ভারতের ডায়াবেটিকসের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অনুপ মিশ্র বলেন, এসিডিটির জন্য সবচেয়ে কার্যকর অ্যান্টাসিড-জাতীয় ওষুধ। তবে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন গবেষণায় ওষুধটির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা জানা যায়। তবে এসব গবেষণায় কিডনির ওপর অ্যান্টাসিড-জাতীয় ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

অনুপ মিশ্র আরো বলেন, পাকস্থলীতে এসিড খুবই স্বাভাবিক। পরিপাক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এসিড। তবে মাত্রাতিরিক্ত এসিড প্রায়ই বুকজ্বলা ও আলসারে আক্রান্ত হওয়ারও ঝুঁকি থাকে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, অ্যান্টাসিড-জাতীয় ওষুধ সেবনের রক্তে ম্যাগিনেসিয়ামের পরিমাণ কমে। এই কারণেই কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে তাঁরা মনে করেন। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন।