প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে করণীয়

Looks like you've blocked notifications!
প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতার বিষয়ে আলোচনা করেছেন ডা. ফাহমিদা ফেরদৌস ও ডা. সাখাওয়াৎ হোসেন। ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘদিন কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া মন খারাপ হওয়া, নিজেকে দোষী মনে করা, আত্মহত্যার প্রবণতা ইত্যাদি বিষণ্ণতার লক্ষণ। অনেক সময় প্রসব পরবর্তী সময়ে অনেকেই এ ধরনের সমস্যায় ভোগেন।

প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে কথা বলেছেন ডা. ফাহমিদা ফেরদৌস। বর্তমানে তিনি জেড এইচ সিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মনোরোগ বিদ্যা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : দীর্ঘমেয়াদি মানসিক বিষণ্ণতায় এটি রূপ নিতে পারে কি?

উত্তর : মেটারনিটি ব্লু সময়টি একপর্যায়ে শেষ হয়ে যাবে। এটিই রূপ নেবে স্থায়ী বিষণ্ণতায়। পাশে যারা থাকবেন, তারাই তার পরিবর্তনগুলো নজরে দেবেন। তাদের উচিত হবে, তাকে মানসিকভাবে সহযোগিতা করা এবং চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া।

যারা মনোরোগে ভুগেন, তারা কিন্তু তাদের এই পরিবর্তনগুলোকে বুঝতে পারেন না। এই জন্য পরিবার- পরিজনদের সহযোগিতাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যখন কোনো মায়ের মধ্যে এ ধরনের লক্ষণ দেখা যাবে, আমি বলব এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, যদি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা খুব ভালো হয়ে থাকে, তাহলে সাধারণত কোনো মেয়ে বিষণ্ণতায় ভোগার কথা নয়। যখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে টানা-পোড়েন থাকে, তখন হয়তো মেয়েটি মনে করে আমার সন্তানের কী হবে।

সন্তান প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতা দূর করতে স্বামীর সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন।

প্রশ্ন : এই ক্ষেত্রে সহযোগিতার পাশাপাশি কাউন্সেলিং বা মেডিকেশনের মাধ্যমে চিকিৎসার গুরুত্বর কতখানি?

উত্তর : স্বামী যখন সহযোগিতা করবে পরিবারের সবাই তখন করবে।

প্রসব পরবর্তী বিষণ্ণতার মধ্যে একটি বিষয় দেখা যায়। একে আমরা বলি সাইকোটিক ডিপ্রেশন। এই ক্ষেত্রে মা অনেক সময় নিজের শিশুকে মেরেও ফেলতে পারে। মেরে ফেলার প্রবণতা হবে। মনে হবে এই সন্তানের কারণে আমি এত অসুখি। একে বলে সাইকোটিক ডিপ্রেশন। এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে প্রথমেই রোগ নির্ণয় করতে হবে। রোগ নির্ণয় করে মনোচিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।