সর্দি-কাশি কেন হয়েছে, কীভাবে বুঝবেন?

Looks like you've blocked notifications!
ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে শিশুর সর্দি-কাশি হয়। ছবি : সংগৃহীত

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় শিশুরা খুব দ্রুতই সর্দি-কাশির সমস্যায় ভোগে। সাধারণত ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এই সমস্যা হয়। কীভাবে বুঝবেন কেন শিশুর সর্দি-কাশি হয়েছে?

এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন ডা. আবু তালহা। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে শিশু বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৫৩৫তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।

প্রশ্ন : লক্ষণ দেখে কী বোঝা যায় কী কারণে সর্দি-কাশি হচ্ছে?

উত্তর : আমরা যেটি বলি যে ইনফেকশন বা ফুসফুসে প্রদাহ, ব্যাকটেরিয়া অথবা ভাইরাস দিয়ে হয়। ভাইরাস দিয়ে যে প্রদাহ হয়, একে আমরা মেডিকেলের ভাষায় বলি ব্রঙ্কিওলাইটিস। আর ব্যাকটেরিয়া দিয়ে যে প্রদাহ হয়, একে আমরা বলি নিউমোনিয়া। এটা তো বের করবে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। আমি যদি সাধারণভাবে বলি একটি বাচ্চার সাধারণভাবে যে ব্রঙ্কিওলাইটিস হয়, এটাতে প্রধানত দেখা যায় শিশুটির নাক দিয়ে পানি পড়া শুরু করবে। কোনো কারণে পানি যদি বের হতে না পারে, তাহলে নাকটা একেবারে বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো হয়ে যায়। এতে শিশুর সর্দি-কাশি হবে। জ্বরের বিষয় যদি চিন্তা করি। জ্বরটা আসলে ওই রকম বেশি থাকে না। এখানে যেহেতু ভাইরাসজনিত সংক্রমণ। জীবাণুগুলো ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করতে পারে না। ফুসফুসের উপরিভাগে থাকে। এ কারণে দেখা যায়, এখানে জ্বরটা বেশি হয় না। আমরা ব্রঙ্কিওলাইটিসকে সাধারণত সহজ কিছু শব্দে প্রকাশ করি। যেমন ধরুন, একটি শিশুর সর্দি রয়েছে। নাক দিয়ে পানি ঝড়ছে, তার বাঁশির মতো আওয়াজ বের হচ্ছে। তবে বাচ্চাটা হাসিখুশি রয়েছে।

তবে আপনি যদি দেখেন যে নিউমোনিয়া, ফুসফুসের গভীরে গিয়ে সংক্রমণ করছে—এ ক্ষেত্রে বাচ্চার প্রথমে সর্দি-কাশি তো থাকবে, পরে দেখা যাবে বাচ্চাটার উচ্চ মাত্রার জ্বর। ১০২/১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট হয়ে যায়। বাচ্চাটা কারো সঙ্গে কথা বলতে চায় না। অনেক অস্থিরতা যায়। দেখা যায়, বুকের খাঁচাটা বুকের ভেতর একেবারে দেবে যাচ্ছে। এরপর বাচ্চা যেটি খাচ্ছে, সেটি হয়তো বমি করছে। সে আসলে তার স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে পারছে না। তো, ব্রঙ্কিউলাইটিসের চেয়ে কিন্তু নিউমোনিয়াটা অনেক খারাপ। যদি কারো নিউমোনিয়া হয়, তাহলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

আরেকটি বিষয় হলো, অ্যাজমা। অ্যাজমার ক্ষেত্রে আমরা যেটা বলি, এটি সাধারণত দুই বছরের পরে হয়। এর আগে যে অ্যাজমার লক্ষণ দেখায় সেগুলোকে আমি রিঅ্যাকটিভ ইয়ারওয়ে বলি। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বাচ্চার সাধারণত জ্বর থাকে না। যেকোনো একটি ক্ষেত্রে দেখা যায়, অ্যালার্জি মেনিফেস্টো। আবার অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় পরিবারে একটি ইতিহাস থাকে। বাবা-মা বা নিকটআত্মীয় কারো হয়তো এটি রয়েছে।

ঢাকা শহরে প্রচুর ধুলাবালি রয়েছে। ধুলাবালির মধ্যে যদি সে যায়, একটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে যদি সে থাকে, তাহলে এ ধুলাগুলো তার ফুসফুসে গিয়ে সমস্যা তৈরি করে। তখনই অ্যাজমার লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।