পূজায় থাকুক স্বাস্থ্যকর খাবারও
বাংলাদেশে নানা আয়োজন ও উৎসবের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে দুর্গাপূজা। পূজার দিনগুলোতে নানা রকম খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন হয়ে থাকে। মিষ্টান্ন, ফল, দুধ, সবজির নানা রকম খাবার খাওয়া হয়ে থাকে এ সময়। ধর্মীয় কারণে অনেকেরই উপোস থাকতে হয়।
আবার অনেককেই শুধু সবজি, ফল, দুধ বা মিষ্টান্ন খাবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে হয়। তাই পুষ্টি বিবেচনা করে মেন্যু তালিকা করা খুব জরুরি।
মিষ্টান্নের মধ্যে দুধের বানানো মিষ্টান্ন থেকে প্রয়োজনীয় ক্যালরির পাশাপাশি প্রোটিন পাওয়া যায়। অনেকেই প্রোটিন খাবার, বিশেষ করে মাংস, মাছ ও ডিম এড়িয়ে চলেন এ সময়। তাই তাঁদের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে দুধ বা দুধের খাবার উপকারী। তেলে ভাজা মিষ্টান্নর চেয়ে দুধের খাবার স্বাস্থ্যকর হয়।
সবজি বা নিরামিষ এ সময়ের একটি জনপ্রিয় খাবার। সবজিতে ঘি ব্যবহার করলে প্রয়োজনীয় ফ্যাট পাওয়া যায়। আবার দই, বাদাম, কিশমিশ দিলেও সবজি অনেক পুষ্টিসংবলিত হয়।
ফল নানাভাবে খাওয়া যেতে পারে। শরীরের ইলেকট্রোলাইটস ও ভিটামিনের চাহিদা পূরণে সহায়ক। তবে খালি পেটে টক ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। ফলের সঙ্গে দই দিয়ে খেতে পারেন। ফলের জুসে চিনির পরিবর্তে গুড় বা মধু দিতে পারেন।
ডাবের পানি এ সময়ের উত্তম তরল। বিশেষ করে অনেক্ক্ষণ পূজার পর পানির পাশাপাশি ডাবের পানি খেলে আপনি চাঙ্গা থাকবেন। কোনো কারণে বেশি ঘাম হলেও ডাবের পানি খাওয়া যেতে পারে। কলা, পেঁপে, সফেদা, খেজুরজাতীয় ফল থেকে প্রচুর শক্তি পাওয়া যায়। টকজাতীয় ফল, যেমন—মাল্টা, আমড়া, কদবেল, জাম্বুরা ইত্যাদি বেলা ১১টায় নাশতার পর খেলে ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা শরীরের জন্য ভালো।
খাবারকে একটু শক্তিদায়ক করার জন্য এর সঙ্গে গুড়, মধু, ঘি, বাটার, তালমিশ্রি ব্যবহার করতে পারেন।
পূজার সময় কোনোভাবেই যেন ডিহাইড্রেটেড না হন, এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।