মেয়েদের যে ধরনের ক্যানসার হয়

Looks like you've blocked notifications!
এই ক্যানসারগুলোতে সাধারণত নারীরা বেশি ভুগে থাকে। ছবি : সংগৃহীত

নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে ক্যানসার একটি আতঙ্কের নাম। হৃদরোগের পর ক্যানসার হলো নারীমৃত্যুর দ্বিতীয় বড় কারণ। গোটা বিশ্বে মেয়েরা সাধারণত ছয় থেকে সাত ধরনের ক্যানসারে বেশি ভোগে। এর মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যানসার, স্তন ক্যানসার ইত্যাদি রয়েছে। তবে প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় করতে পারলে এবং বিষয়গুলো সম্বন্ধে সচেতন থাকলে রোগ নিরাময় অনেকটাই সহজ হয়। লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে নারীর প্রচলিত সাত ধরনের ক্যানসারের কথা।

১. জরায়ুমুখের ক্যানসার

শুধু ভারতেই এক-তৃতীয়াংশ নারী জরায়ুমুখের ক্যানসারে ভুগে থাকে। এটি নারীদেহের বেশ প্রচলিত একটি ক্যানসার। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের কারণে এই ক্যানসার হয়। অল্প বয়সে বিয়ে, বহু যৌনসঙ্গী থাকা, বেশি ওজন হওয়া ইত্যাদি কারণে এই সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া এইচআইভি ইনফেকশনের কারণে জরায়ুমুখের ক্যানসার হয়।

২. স্তন ক্যানসার

সাধারণত পরিবারের কারো থাকলে, জিনগত কারণে, দেরিতে গর্ভধারণ করলে, বয়স বাড়তে থাকলে ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে স্তনে ক্যানসার হয়ে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় করতে পারলে এটি অনেক ক্ষেত্রে ভালো করা যায়। এই ক্যানসার প্রতিরোধে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট সময় নিজের স্তন নিজেই পরীক্ষা করা প্রয়োজন। পাশাপাশি ম্যামোগ্রাম করেও রোগ নির্ণয় করা যায়।

৩. কোলন ক্যানসার

সারা বিশ্বে অনেক নারীই কোলন ক্যানসারে ভুগে থাকে। এটিও আরেকটি বড় ক্যানসার। আমেরিকান সোসাইটি ফর ক্যানসারের গবেষণায় বলা হয়, নারীরা কোলন ক্যানসারে এবং পুরুষরা রেক্টাল ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হয়। যারা চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খায়, যাদের বেশি ওজন থাকে তাদের কোলন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া বংশগত কারণেও এই ক্যানসার হতে পারে।  

৪. ওভারিয়ান ক্যানসার বা ডিম্বাশয়ের ক্যানসার

সাধারণত পঞ্চাশোর্ধ্ব নারীদের এই ক্যানসার বেশি প্রভাবিত করে। এ ছাড়া যাদের সন্তান হয় না বা যাদের প্রথম সন্তান ৩০ বছরের পরে হয়, তাদের এই ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

৫. ত্বকের ক্যানসার

সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়, যাদের ত্বক বেশি সাদা, যাদের লাল অথবা সোনালি চুল, যারা কড়া সূর্যের আলোয় অনেকক্ষণ ধরে থাকে তাদের ত্বকের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তবে যদি পারিবারিক ইতিহাস থাকে এই ক্যানসার হওয়ার, তাহলেও এটি হতে পারে।

৬. ফুসফুসের ক্যানসার

যারা ধূমপান করে না, তাদেরও ফুসফুসের ক্যানসার হতে পারে। সাধারণত যেসব নারী পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়, তাদের এই ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। গবেষণায় বলা হয়, যেসব নারীর স্বামী বা প্রেমিক ধূমপান করে তাদের ১০ জনের মধ্যে আটজন নারী এই ক্যানসারে ভুগে থাকে।

৭. এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার

সাধারণত পঞ্চাশোর্ধ্ব নারীর এই ক্যানসার বেশি হতে দেখা যায়। বন্ধ্যাত্বের ইতিহাস, মেনোপজ আগে হওয়া বা দেরিতে হওয়া, সন্তান না হওয়া ইত্যাদি কারণে এই ক্যানসার হতে পারে।