শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি, কীভাবে বুঝবেন?

Looks like you've blocked notifications!
জিঙ্কের ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। ছবি : সংগৃহীত

জিঙ্ক দেহের বিভিন্ন কাজে লাগে। এই গুরুত্বপূর্ণ মিনারেলটি কোষ বিভাজন ও কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে উপকারী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় ৩১ শতাংশ মানুষ জিঙ্কের ঘাটতিতে ভুগছে। সাধারণত শিশু, গর্ভবতী নারী ও স্তনদানকারী নারীদের ক্ষেত্রে এ ঘাটতি বেশি দেখা দেয়। শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি বোঝার কিছু উপায় জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকঠাক রাখতে জিঙ্ক জরুরি। এর ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে ফ্লু, ঠাণ্ডা-কাশি ইত্যাদি সমস্যা বেশি হয়।

২. দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়া

জিঙ্কের ঘাটতি হলে দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে এমনটা ঘটে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে বিষয়টি বেশি হয়।

৩. চুল পাতলা হয়ে যাওয়া

জিঙ্কের ঘাটতি হলে স্ক্যাল্পের কোষ দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে চুল পড়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া ও চুল ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাই এ ধরনের সমস্যা হলে জিঙ্কের ঘাটতি রয়েছে কি না, পরীক্ষা করে নিন।

৪. ত্বকের সমস্যা

জিঙ্ক কোলাজেন সংশ্লেষণে সাহায্য করে। এটি ত্বককে স্বাস্থ্যকর রাখতে জরুরি। জিঙ্ক ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে উপকারী।

শরীরে জিঙ্ক, অর্থাৎ মিনারেলের ঘাটতি হলে ব্রণ, একজিমা, সোরিয়াসিস, র‍্যাশ, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা হতে পারে। এমনকি ত্বক সব সময় ম্লান দেখাতে পারে। তাই এমন হলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৫. মনোযোগের সমস্যা

জিঙ্কের ঘাটতি হলে স্নায়বিক সমস্যা হয়; মনোযোগের ঘাটতি ঘটে। এতে শেখার সমস্যা হয়, বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে।

যেসব খাবারে জিঙ্ক পাওয়া যায়

লাল মাংস (খাসি, গরু), মুরগির মাংস, ডিম, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, দুধ, পনির ইত্যাদিতে জিঙ্ক পাওয়া যায়। তাই জিঙ্কের ঘাটতি পূরণে খাদ্যতালিকায় এসব খাবার রাখুন।