কিডনির পাথর দূর করবে ভিনেগার!

পাথর কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অসম্ভব ব্যথা হয়ে কিডনির পাথরের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তবে অস্ত্রোপচারই কেবল কিডনির পাথর দূর করার উপায় নয়। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতিও রয়েছে, যেগুলো কিডনির পাথর দূর করতে সাহায্য করে।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের ব্যবহার করে কিডনির পাথর দূর করা যায়। ভিনেগারের অম্লীয় প্রকৃতি পাথর ভাঙতে সাহায্য করে।
এই এসিড হজমে সাহায্য করে এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। কিডনির পাথরের চিকিৎসায় বিভিন্নভাবে অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের ব্যবহার করা যায়।
জীবনযাত্রাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
ভিনেগার ও পানি
এটি কিডনির পাথর প্রতিরোধের একটি ভালো উপায়। আট আউন্স পানির মধ্যে দুই চা চামচ ভিনেগার মেশান। পানীয়টি একদিন খান। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন। এতে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর হবে।
ভিনেগার, পানি ও বেকিং সোডা
পানি, বেকিং সোডা ও ভিনেগারের মিশ্রণও পাথর দূর করতে ভালো কাজ করে। বেকিং সোডার আলকেলাইজিং প্রভাব শরীরের এসিড প্রতিরোধ করে। এক গ্লাস পানির মধ্যে দুই চা চামচ ভিনেগার ও আধা চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে খান। ভালো ফলাফলের জন্য দিনে তিনবেলা এটি খেতে পারেন।
ভিনেগার ও মধু
মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল উপাদান কিডনির পাথর প্রতিরোধ করে। মধু পানীয়ের স্বাদও বাড়ায়। এক চা চামচ ভিনেগারের মধ্যে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে খান।
ভিনেগার ও নারকেল তেল
নারকেল তেল ও পানি ত্বকের জন্য যেমন ভালো, তেমনি ভালো চুলের জন্য। এটি কিডনির পাথর দূর করতেও কাজ করে। দুই চা চামচ ভিনেগার, দুই চা চামচ নারকেল তেল এক গ্লাস পানির মধ্যে মেশান। নিয়মিত এই পানীয় পান করা কিডনির পাথর রোধে সাহায্য করবে।
ভিনেগার, অলিভ অয়েল, লেবুর রস ও পানি
লেবুর রসের এসিডিক প্রকৃতি প্রস্রাবের এসিডিটির মাত্রা কমায়। এটি কিডনির পাথর তৈরি হওয়া প্রতিরোধ করে। এটি কিডনির ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধেও কাজ করে। সমপরিমাণ অলিভ অয়েল ও লেবুর রস নিন। এক গ্লাস পানির মধ্যে এগুলোসহ এক চা চামচ ভিনেগার মেশান। কিডনির পাথর রোধে পানীয়টি পান করুন।
তবে যেকোনো ঘরোয়া ওষুধ খাওয়া বা পানীয় পানের আগে অবশ্যই শরীরের অবস্থা বুঝে নিন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।