পায়ের নখের ফাঙ্গাশ দূর করবেন যেভাবে

নখের ফাঙ্গাশ অনিকোমাইকোসিস নামে পরিচিত। নখের প্রদাহ, ফোলা, নখ পুরু হওয়া, হুলুদ ভাব ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। সাধারণত খুব বেশি ছড়িয়ে না গেলে এই সমস্যায় নখে তেমন ব্যথা হয় না।
অস্বাভাবিক পিএইচের মাত্রা, দুর্বল রোগ প্রতিরোধক্ষমতা, ঘর্মাক্ত জুতার নিয়মিত ব্যবহার, পায়ে সারাক্ষণ ভেজা ভাব, ডায়াবেটিস, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব-এসব কারণে এই রোগ হয়।
এমন হলে অনেক সময় নখও হারাতে হয়। তবে স্বস্তির বিষয় হলো এটি নিরাময় সম্ভব। কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে যেগুলো পালন করলে দুই মাসের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা যায়। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপটেন হোম রেমেডি জানিয়েছে সেসব সমাধানের কথা।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
অ্যাপেল সিডার ভিনেগারের মধ্যে সামান্য পরিমাণ এসিড রয়েছে। এটি পায়ের নখের ফাঙ্গাশ দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি ব্যাকটেরিয়া ও ফাঙ্গাশকে মারে।
সমপরিমাণ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ও পানি মেশান। এই পানি দিয়ে ৩০ মিনিট পায়ের নখ ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ভালোভাবে নখ শুকান। দ্রুত ভালো হওয়ার জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন এটি করুন।
সাদা ভিনেগার
ভিনেগার সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করার একটি ভালো ঘরোয়া উপাদান। এটি ত্বকের পিএইচকে সংরক্ষণে সাহায্য করে।
- এক অংশ ভাগ সাদা ভিনেগার, দুই ভাগ পানিতে মেশান।
- আক্রান্ত নখে এটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।
- এরপর ধুয়ে ফেলুন ও আক্রান্ত এলাকা পরিষ্কার করুন।
- দিনে দুবার এটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে যদি ত্বকে অস্বস্তি বোধ হয়, এর মধ্যে আরো পানি নিন। প্রতিদিনের বদলে একদিন পর পর করুন।
চা গাছের তেল (টি ট্রি ওয়েল)
চা গাছের তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক উপাদান এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। এটি পায়ের নখের ফাঙ্গাশ দূর করে। এ ছাড়া চা গাছের তেল অন্যান্য ধরনের ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
- এক চা চামচ অলিভ ওয়েল বা নারকেল তেলের মধ্যে কয়েক ফোঁটা চা গাছের তেল মেশান।
- একটি তুলার বলের মধ্যে মিশ্রণটি নিন। এরপর বলকে আক্রান্ত এলাকার চারপাশে লাগান।
- ১০ মিনিট এভাবে রেখে দিন। এরপর একটি টুথব্রাশ দিয়ে আলতোভাবে আক্রান্ত এলাকায় স্ক্রাব করুন।
- ভালো ফলাফলের জন্য দিনে দুই থেকে তিনবার এটি করুন।