মানসিক রোগের জন্য প্রাথমিকভাবে কী করবেন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/10/10/photo-1476081202.jpg)
সুস্বাস্থ্যের জন্য চাই সুস্থ দেহ, সুস্থ মন। মানসিক রোগীরা আমাদের সমাজেরই অংশ। মানসিক রোগীকে ‘পাগল’ বলা একটি সামাজিক অপরাধ। মানসিক রোগীকে অবহেলা ও অবজ্ঞা না করে সেবা ও ভালোবাসা দিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানো পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের নৈতিক কর্তব্য।
মানসিক রোগ কী?
দীর্ঘদিন স্বাভাবিক আচার-আচরণ পরিপন্থী, অস্বাভাবিক জীবনযাপনই মানসিক রোগ। বাংলাদেশের প্রায় ৫ থেকে ৯ ভাগ লোক কোনো না কোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত। মানসিক রোগীদের সঠিক চিকিৎসা না হলে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মানসিক রোগের কারণ
১. পারিবারিক অশান্তি, অবহেলা, অনিশ্চয়তা।
২. ব্যক্তিগত দুশ্চিন্তা, হতাশা, ভয়।
৩. সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা।
৪. বংশগত কারণ।
৫. শারীরিক বিভিন্ন রোগের কারণে মানসিক রোগ হতে পারে।
৬. বিভিন্ন ওষুধের দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে মানসিক রোগ হতে পারে।
মানসিক রোগের লক্ষণ
১. আবেগের অস্বাভাবিকতা।
২. অতি উত্তেজনা।
৩. মনের ভেতর সব সময় অশান্তি, অবসাদ।
৪. সব সময় মন খারাপ থাকা।
৫. স্বাভাবিক বিচার-বিবেচনা লোপ পাওয়া।
৬. রাতে স্বাভাবিকভাবে কম ঘুম হওয়া।
৭. সন্দেহ প্রবণতা।
৮. অহেতুক ভয় পাওয়া।
৯. শুচিবায়ু।
১০. কারণে-অকারণে মূর্ছা যাওয়া।
১১. একা একা থাকা, একা একা কথা বলা, হাসা ইত্যাদি।
মানসিক রোগে প্রাথমিকভাবে করণীয়
১. লজ্জা না পেয়ে, সামাজিক ‘স্টিগমা’ নিয়মিতভাবে মানসিক রোগের ডাক্তার দেখান এবং ডাক্তারের ফলোআপে থাকুন।
২. কাজে ব্যস্ত থাকুন।
৩. পর্যাপ্ত ঘুমান।
৪. নিয়মিত বিশ্রাম নিন।
৫. নিয়মিত পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খান।
৬. যেকোনো বদ অভ্যাস ও নেশা থেকে দূরে থাকুন।
৭. সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করার চেষ্টা করুন।
৮. আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন।
৯. পছন্দের মানুষ, কাছের বন্ধুদের সঙ্গে মিশুন।
১০. নিয়মিত ধ্যান করুন, ধর্মীয় আচার-আচরণ পালন করুন।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।