অবসট্রাকটিভ জন্ডিস কী?

Looks like you've blocked notifications!

জন্ডিসের একটি ধরন অবসট্রাকটিভ জন্ডিস। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৫২৩তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. বিধান সি দাস। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : অবসট্রাকটিভ জন্ডিস বলতে কী বোঝায়?

উত্তর : জন্ডিস হলে শরীর হলুদ হয়ে যায়, আমরা জানি। তো, অবসট্রাকটিভ জন্ডিস হলো জন্ডিসের একটি ভাগ। আমাদের লিভারের থেকে যে পিত্তনালি বা পিত্তথলি আসে, এসে খাদ্যনালির সঙ্গে সংযুক্ত হয়। তখন ওই পিত্তরসটা খাদ্যনালিতে যেতে পারে না। তখন সেটা জমা হয় এবং সেখান থেকে রক্তে যায়। রক্তে গিয়ে সারা শরীরে বিস্মৃতি লাভ করে। এতে হাত-পা হলুদ হয়ে যায়। একে আমরা অবসট্রাকটিভ জন্ডিস বলি, যেহেতু বাধা পড়ে। এর চিকিৎসা করতে হলে অস্ত্রোপচারের দরকার হয়।

প্রশ্ন : অবসট্রাকটিভ জন্ডিস ও প্রচলিত জন্ডিসের মধ্যে রোগী পার্থক্য কীভাবে করবেন?

উত্তর : মেডিকেল জন্ডিস যাকে বলি, সেটা দুই ধরনের হতে পারে। একটি হলো হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়াজনিত জন্ডিস, আরেকটি হলো ভাইরাল হেপাটাইটিস। হয়তো অনেক ধরনের কারণ থাকে। এগুলো সাধারণত মেডিকেল চিকিৎসায় ভালো হয়। পার্থক্য যেটা বললেন, যেটা ভাইরাল হেপাটাইটিস এ ভাইরাস, সি ভাইরাস, বিভিন্ন রকম ভাইরাস আছে। ভাইরাসজনিত জন্ডিসগুলোয় আক্রান্ত হলে রোগীর খুবই দুর্বল লাগে। একটু একটু জ্বর জ্বর ভাব লাগে, খুব বেশি বমি হয়। খেতে পারে না। প্রচণ্ড দুর্বল অনুভব করে। এর পরে তাদের গা হাত-পা হলুদ হচ্ছে।

আর আমরা যখন সার্জিক্যাল জন্ডিস চিন্তা করি, তখন হঠাৎ করে ধীরে ধীরে জন্ডিস শুরু হয়, টিউমার বলেন অথবা পাথর যদি হয়, জন্ডিসটা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। টিউমারের ক্ষেত্রে অনেক সময় ব্যথা হয় না। আবার পাথরের কারণে যদি জন্ডিস হয়, তখন একটু ব্যথা, জ্বর এগুলো হতে পারে। তবে প্রাথমিক দিকে খুব দুর্বল লাগে না। তবে টিউমার যদি বড় হয়, তাহলে হয়তো খাওয়ার অরুচি থাকতে পারে। ক্ষুধামান্দ্য থাকতে পারে। স্বাস্থ্য নষ্ট হতে পারে।