মানসিক চাপ কমায় সন্তানধারণের ক্ষমতা

Looks like you've blocked notifications!
মানসিক চাপ কমায় সন্তানধারণের ক্ষমতা। ছবি : অ্যাওয়ারমেড

এমন অনেক দম্পতি রয়েছেন, যাঁরা কয়েক বছর ধরে চেষ্টার পরও সন্তান ধারণ করতে সক্ষম হন না। এর পেছনে কী কারণ রয়েছে এই বিষয়টিও খুঁজে পান না তাঁরা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় বলা হয়, সন্তানধারণের অক্ষমতার পেছনে নারীর মানসিক চাপ বা উদ্বেগ একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে এই তথ্য।

গবেষকরা বলছেন, নারীর এই অনুর্বরতার জন্য উদ্বেগ অনেকটাই দায়ী। আলফা এমাইলেজ এনজাইম যা চাপের ফলে হয়, তা দেরিতে সন্তান ধারণ করার জন্য অনেকাংশে দায়ী। 

গবেষকরা আরো বলেন, যেসব নারী সাধারণত চাপের মধ্যে থাকেন, বেশির ভাগ সময়ই ক্লান্তবোধ করেন, কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তিত থাকেন বা উদ্বিগ্ন হন, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেন না এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন মেনে চলেন না, তাদের সন্তান ধারণক্ষমতা স্বাভাবিক নারীর তুলনায় অনেক কম হয়।

গবেষণাটি করা হয় ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২৭৪ স্বাস্থ্যবান নারীর মধ্যে, যাঁরা সন্তান নিতে চেষ্টা করছেন। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, দুই ধরনের কেমিক্যালের নিঃসরণ গর্ভধারণকে প্রভাবিত করে। এগুলো হলো সালিভা এবং আলফা এমাইলেজ; যা চাপের কারণে নিঃসরিত হয়। তবে এর সাথে চাপ তৈরিকারী হরমোন করটিসলের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। জরিপে অংশ নেওয়া ১২ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে অতিরিক্ত চাপ গর্ভধারণের ক্ষমতা হ্রাস করে দেয়।  

মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, সন্তান না হওয়া কখনো কখনো শক্তিহীনতার অনুভূতি তৈরি করে, যা ব্যক্তির মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে।

তাই গবেষকদের পরামর্শ, অধিকাংশ লোকই বুঝতে পারেন না চাপের কারণে তারা গর্ভধারণ সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই রকম সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সন্তান নেওয়ার কয়েক মাস আগে থেকে পরিকল্পনা শুরু করুন এবং এই সময়টায় চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। ম্যাসাজ, ইয়োগা এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। সঙ্গীকে বোঝানোর চেষ্টা করুন আপনি চাপের মধ্যে আছেন এবং এই সময়টায় সে যেন আপনাকে সাহায্য করে।

গবেষকরা আরো বলেন, যদি আপনি ভাবেন একাই এই সমস্যাটি ভোগ করছেন, তাহলে ভুল করবেন। অনেক দম্পতিই রয়েছেন, যাঁরা একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই পরিবারের সদস্যদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলুন। কেন এই উদ্বেগ হচ্ছে আপনার বিষয়টি নিয়ে ভাবুন এবং দূর করার চেষ্টা করুন। জীবনের অন্যান্য ভালো দিকগুলোর প্রতি লক্ষ দিন। কেবল সন্তান জন্ম দেওয়াই আপনার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়—এই বিষয়টি চিন্তা করুন। ধীরে ধীরে চিন্তামুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। এই চিন্তামুক্ত থাকাই আপনাকে বেশ সাহায্য করবে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে।