এ সময়ের জ্বরে করণীয়

Looks like you've blocked notifications!

ঠান্ডা পড়তে শুরু করছে। এ সময়ে অনেকেরই জ্বর হতে দেখা যায়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৫৫১তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমীন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন : এই যে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব চলে আসছে। এ সময় আপনারা কোন ধরনের জ্বর দেখে থাকেন?

উত্তর : যখনই ঋতু পরিবর্তন হয়,গরম থেকে ঠান্ডার দিকে আসা শুরু হয়, তখনই আমরা বলি ফ্লু। এর প্রকোপ অনেক বেশি বাড়বে। এ সময় অনেক বেশি ভাইরাস জ্বর হয়। খুব প্রচলিত হচ্ছে আমাদের নাক-মুখ দিয়ে ভাইরাসগুলো ঢুকবে। ঢোকার পর তীব্র জ্বর হবে, গায়ে ব্যথা  হবে। তবে তার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সর্দি থাকবে। গলায় ব্যথা থাকবে, খেতে গিয়ে গলায় ঢোক গিলতে ব্যথা হবে। অথবা কাশি হয়। কাশিগুলো সাধারণত শুকনো শুকনো হয়। শেষের দিকে হয়তো গিয়ে কাশির সঙ্গে কফ বের হতে পারে। 

যেহেতু বাচ্চাদের আসলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম অথবা বয়স্কদের। তাদেরই ফ্লু অথবা ভাইরাল জ্বরগুলো বেশি হয়। 

প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আমি যেটা বলব, সবার আগে তো ঠান্ডা আসতে হবে। সে যদি এই ঠান্ডাকে সঠিকভাবে প্রতিরোধ করতে পারে, তাহলে মাত্রা অনেক বেশি কমে যাবে। আমাদের এখানে দেখা যায়, গায়ে হয়তো অনেক কাপড়চোপড়, তবে মুখে হয়তো কম। 

আর একটি বিষয় হলো, কেউ যখন বের হচ্ছে বাতাস এলে কোন দিকে আসছে, সেটা বুঝতে হবে। তাহলেও কিন্তু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঠান্ডার মাধ্যমেই আসলে ভাইরাসগুলো আসবে।