ডিসফাংশনাল ইউটারাইন ব্লিডিংয়ের চিকিৎসা কী?

Looks like you've blocked notifications!

নারী শরীরে অনিয়মিত রক্তভাঙার রোগকে বলা হয় ডিসফাংশনাল ইউটারাইন ব্লিডিং। এর চিকিৎসা করা জরুরি। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৮৯তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. নাঈমা শারমিন হক। বর্তমানে তিনি শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতি ও ধাত্রী বিদ্যা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

প্রশ্ন : কী ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতিতে আপনারা যান?

উত্তর : এটা নির্ভর করে রোগী কতটুকু রক্তস্বল্পতায় ভুগছে এর ওপর। যদি একজন রোগী অনেক বেশি রক্তস্বল্পতায় ভোগে, তার বুক ধরফর করছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, সে কাজ করতে পারছে না, তাকে তখন ভর্তি করে, প্রথম দায়িত্ব হলো তার রক্তস্বল্পতাটা ঠিক করা। যে রক্তশূন্যতা তার শরীরে চলে আসছে সেটা ঠিক করা এবং তার আবার যেন এই সমস্যা না হয়, সেটা ঠিক করা। রক্তের প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে রক্তশূন্যতা ঠিক করি। এরপর রোগীকে আমরা মেডিকেল ব্যবস্থাপনায় যেতে চাই। যদি তার বাচ্চা নেওয়ার প্রয়োজন থাকে, রক্তশূন্যতা ঠিক করে আমরা তাকে পরামর্শ দেই, আপনি গর্ভধারণ করেন। আর যদি তার পরিবার পূর্ণ না থাকে সেই ক্ষেত্রে সার্জিক্যাল চিকিৎসায় যেতে পারি।

আর সার্জিক্যাল চিকিৎসার আরেকটি বিষয় হলো রোগীর যদি ছয় মাস পর্যন্ত মেডিক্যাল ব্যবস্থাপনা নেওয়ার পরও লক্ষণগুলো থেকে যায়। সেক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত আমাদের সার্জিক্যাল চিকিৎসায় চলে যেতে হয়। লেজার চিকিৎসার মাধ্যমে এন্ডোমেট্রিয়ামকে ধ্বংস করে দিচ্ছি। কোনো কোনো রোগীর চাহিদা থাকে যে আমি ইউটেরাস রাখব। এখন আমাদের দেশের মানুষ অনেক অগ্রবর্তী। এটা যেকোনো ক্লাসেই হতে পারে। এখন মানুষ সচেতন। মানুষ কোনো কারণ ছাড়া চায় না যে জরায়ু ফেলে দেই আমি। কেউই চায় না। সেক্ষেত্রে আমরা লোকাল থেরাপিতেও যেতে পারি। আর যদি দরিদ্র রোগী হয়, সেই ক্ষেত্রে পরিবারের সম্মতি থাকলে আমরা তাকে হিসটেরেকটোমিতে চলে যাওয়ার জন্য বলি।