অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে হতে পারে অন্ধত্ব, পঙ্গুত্বসহ নানা জটিলতা
ডায়াবেটিস হচ্ছে বহুমূত্র রোগ। বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস বেশ প্রচলিত একটি রোগ। ডায়াবেটিস হলে শরীরে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গতেই এর প্রভাব পড়ে। যার ফলে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা তৈরি হতে পারে। যখন রক্তে শর্করা বাড়বে, তখনই ডায়াবেটিস হবে।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসে হতে পারে পঙ্গুত্ব, অন্ধত্বসহ নানা জটিলতা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ডা. মারুফা মোস্তারী। আর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেছেন ডা. নুসরাত জাহান দিপা।
যখন ডায়াবেটিস হয়, সেটি যখন অনিয়ন্ত্রণে থাকে। তখন শরীরের কোন কোন অঙ্গকে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত করে থাকে, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. মারুফা মোস্তারী বলেন, ‘বিভিন্ন জটিলতার কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পঙ্গুত্ব, অন্ধত্ব ও নার্ভে সমস্যার জন্য নিউরোপ্যাথি ডেবেলপ করে এবং স্ট্রোকে সমস্যাসহ নানা জটিলতা হয়। এর থেকে চোখে সমস্যা হতে পারে, তেমনি কৃত্রিম সমস্যা হতে পারে। দেখা যাচ্ছে, তার একটি রোগের সঙ্গে আরও কয়েকটি রোগ হতে পারে। তারমধ্যে যদি তার কিডনি সমস্যার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা থাকে। তখন চিকিৎসার ব্যয়ভার আরও বেড়ে যাবে। এজন্য ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই প্রয়োজন।’
আবার বয়সের ক্ষেত্রে আমরা মনে করতাম ৪০ বছরের পর কারও ডায়াবেটিস হতে পারে, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে ৩০ বছরের কম বয়স যাদের, তাদেরও ডায়াবেটিস বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আপনার পরামর্শ কী, সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. মারুফা বলেন, ‘টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস, টাইপ-টু ডায়াবেটিস। টাইপ-ওয়ান ডায়াবেটিস সাধারণত বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হয়, যেটা ইনসুলিন নির্ভর। ইনসুলিন ছাড়া ওনারা বাঁচে না। টাইপ-টু ডায়াবেটিস এর ক্ষেত্রে ইনসুলিন থাকলেও সেটা অকার্যকর অবস্থায় থাকে।’ তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বা অন্যান্য রোগজনিত ডায়াবেটিসে যারা ঝুঁকিতে রয়েছেন, তারাই মূলত টেস্ট করবে।’
‘বছরে একবার হলেও দেখতে হবে ডায়াবেটিস রয়েছে কিনা, সেটা অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করে দেখতে হবে’ জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘এখন কারা বেশি ঝুঁকিতে আছে, যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে, অর্থাৎ ডায়াবেটিস পরিবারগতভাবেও হয়ে থাকে। আর কোনো ব্যক্তির শারীরিক ওজন যদি বেশি থাকে, তাহলে তার ডায়াবেটিস আছে কিনা, পরীক্ষা করতে হবে। এ ছাড়া সে যদি উচ্চ রক্তচাপে ভোগে বা রক্তের কোলেস্টেরলের আধিক্যজনিত কারণে ভোগে থাকে। তার যদি হরমোনজনিত কোনো সমস্যা থাকে। যেমন : পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) হলো মহিলাদের মধ্যে অ্যান্ড্রোজেন (পুরুষ হরমোন) এর মাত্রা বেড়ে যাবার জন্য কিছু উপসর্গের সমাহার। এক্ষেত্রে তারাও এই টেস্ট করবে। এ ছাড়া যেসব নারীর পূর্ববর্তী কোনো বড় বাচ্চা ডেলিভারির ইতিহাস থাকে বা তার গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ইতিহাস থাকে, তাকে বছরে অন্তত একবার হলেও টেস্ট করে জেনে নিতে হবে ডায়াবেটিস আছে কিনা।’
যাদের কম বয়সে ডায়াবেটিস হয়, ইনসুলিন নেওয়ার প্রয়োজন থাকলেও ইনসুলিন নিতে চায় না এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ওপরের ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ।