বর্ষার সময় শিশুকে অসুস্থতা থেকে রক্ষা করার ছয় টিপস
বর্ষাকাল মানেই নানা রোগের সংক্রমণ। কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নয়, শিশুদের জন্যও এটি একটি কঠিন সময়। আর্দ্রতা বেশি থাকায় এমনটি হয়। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, টাইফয়েড, চিকুনগুনিয়া, গ্যাস্ট্রোএন্টারাইটিস, কলেরা, এবং জন্ডিসের মতো স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব রোগের সাধারণ লক্ষণ হল জ্বর, তীব্র শরীর ব্যথা, ফুসকুড়ি, বমি ও পেটে ব্যথা।
এইচটি লাইফস্টাইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুম্বাইয়ের মেডিকোভার হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ারের কনসালট্যান্ট ডা. নারজোহান মেশরাম জানিয়েছেন, “দূষিত খাবার এবং পানির কারণে বর্ষাকালে কৃমির সংক্রমণ দেখা যায়। এ ছাড়া, শিশুদের কাশি, সর্দি, ফ্লুও হতে পারে। সুতরাং, শিশুদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। অভিভাবকদের ডাক্তার দ্বারা প্রস্তাবিত গাইডলাইন মেনে চলা উচিত। ডাক্তার পরামর্শ না দিলে আপনার বাচ্চাকে ঔষধ খাওয়াবেন না”। তিনি কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থার পরামর্শ দিয়েছেন। যা সন্তানের ক্ষেত্রে মা-বাবার মেনে চলা উচিত।
বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মশামুক্ত রাখুন
বাড়ির আশেপাশে যেন পানি জমে না থাকে তা নিশ্চিত করুন। ফুলের পাত্র, বালতি এবং পরিত্যক্ত টায়ারগুলো সরিয়ে ফেলুন। সন্ধ্যায় যখন বাড়িতে বাচ্চা থাকে তখন জানালা খোলা রাখবেন না। কারণ মশার কামড়ের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ঘুমানোর সময় বাড়িতে মশারি ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এটি আপনাকে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়া দূরে রাখতে সহায়তা করতে পারে।
মশা নিরোধক ব্যবহার করুন
শিশুদের থেকে মশা থেকে দূরে রাখতে প্রতিরোধক ব্যবহার করুন। রাস্তায় পানি জমে গেলে শিশুদের সেখান থেকে দূরে রাখুন।
বাচ্চাদের উপযুক্ত পোশাক পরান
শিশুদের জন্য ফুল হাতার জামা বেছে নিন। এগুলো আপনার বাচ্চাকে মশার কামড় থেকে সুরক্ষা রাখবে। বাচ্চাদের বাইরের ক্রিয়াকলাপ সীমিত করুন।
বাড়ির ভিতরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
বিছানার চাদর, বালিশের কভার, কাঁথা নিয়মিত পরিবর্তন করুন। এটি শিশুর সুস্থ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। গৃহস্থালির অন্যান্য জিনিসপত্রও নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
শিশুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন
খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনার বাচ্চাকে হাত ধুতে বলুন। স্কুল থেকে আসার পরে সন্তানকে গোসল করিয়ে নিন। কোন জিনিস স্পর্শ করার আগে বা পরে তার হাত ধুয়ে নিতে বলুন।
শিশুর খাবারের দিকে নজর রাখুন
শিশুকে পুষ্টিকর খাবার দিন। ভিটামিন, মিনারেল এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান। এ সময় আপনার সন্তানকে বেশি করে কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, বাঁধাকপি, ফুলকপি ও টমেটো খেতে উৎসাহিত করুন।
সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস