যে সাত কারণে আপনার ওজন কমছে না

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : ফ্রিপিক

ওজন কমানো একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ। কেউ কেউ খাওয়া বন্ধই করে দেন। নানা রকম ব্যায়াম করেন। কিন্তু তারপরও কাঙ্ক্ষিত ফলাফলে পৌঁছাতে পারছেন না। কোনভাবেই হয়তো ওজন কমছে না। এতে অনেকেই হতাশায় চলে যান। ওজন না কমার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। যার ফলে আপনি লড়াই করেও ফলাফল পাচ্ছেন না।

দুর্বল ডায়েট

ওজন না কমার অন্যতম উল্লেখযোগ্য কারণ হল অস্বাস্থ্যকর ডায়েট। স্ন্যাকস, ফাস্ট ফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবারের মতো উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেলে ওজন বাড়বে। এ সব খাবার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে না। আপনার ডায়েটে ফলমূল, শাকসবজি, চর্বিযুক্ত প্রোটিন এবং শস্যের মতো খাবার রাখুন। আপনি কতটুকু খাচ্ছেন সেদিকে খেয়াল রাখুন। কারণ  এ সময় ক্যালোরির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোও ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে। যদি তা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়।

শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অভাব

ওজন কমানো কেবল খাবারের ওপরই নির্ভর করে না। এ জন্য আপনাকে শারীরিক ক্রিয়াকলাপেও যুক্ত থাকতে হবে। একটি অলস জীবনযাত্রা অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে পারে না। নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ বিপাক এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। প্রতিদিন ৬-৮ হাজার স্টেপ হাঁটুন । সিঁড়ি বেয়ে ওঠার অভ্যাস করুন। বাড়িতে ৩০মিনিট ব্যায়াম করুন। ধীরে ধীরে, আপনি আপনার পরিবর্তনগুলো দেখতে পাবেন।

আবেগপ্রবণ হয়ে খাওয়া

মানুষ হিসাবে আমরা স্ট্রেস, উদ্বেগ, একঘেয়েমি বা দুঃখ মোকাবেলার মধ্যে দিয়ে যেতেই পারি। এসব আবেগ মোকাবেলা করার উপায় হিসেবে খাবারের দিকে ঝুঁকতে থাকি। ফলে অতিরিক্ত খাওয়া হয়। এতে ওজন দ্রুত বেড়ে যায়। তাই আবগবশত হয়ে খাওয়ার প্রতি লালসা আমাদের নিজেদেরই কমাতে হবে। এ সময় নিজেকে অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন।

অপর্যাপ্ত ঘুম

ওজন কমানোর চেষ্টায় থাকলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান। ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণকারী হরমোনগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘুম ঠিক মত না হলে, শরীর আরও ঘেরলিন (ক্ষুধা হরমোন) এবং কম লেপটিন (হরমোন যা পরিপূর্ণতার সংকেত দেয়) উৎপাদন করে। তাই ক্ষুধা লাগে। রাতে বেশি জেগে থাকলে ক্ষুধা বেড়ে যায়। যা আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়ার দিকে পরিচালিত করে। তাই প্রতি রাতে ৭-৯ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

মেডিকেল শর্তাবলী

কিছু চিকিৎসা ওজন কমানোর যাত্রাকে কঠিন করে তুলতে পারে। হাইপোথাইরয়েডিজম, পলিসিস্টিক ডিম্বাশয় সিন্ড্রোম (পিসিওএস) এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের মতো পরিস্থিতি বিপাককে প্রভাবিত করতে পারে। তাই ওজন খুব ধীর গতিতে কমে। এ ক্ষেত্রে, একজন পেশাদারের সাথে পরামর্শ করুন। উপযুক্ত চিকিৎসা নিন।

অতিরিক্ত চিনি খাওয়া

চিনি জাতীয় খাবার থেকে সব সময় দূরে থাকুন। চা বা কফিতে চিনি না মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। আপনি যদি স্মুদি বা সোডা জাতীয় পানি খান, তবে ওজন কমানো কষ্ট হবে। এমনকি ফলের রসও আপনার ওজন বাড়াতে পারে। কারণ ফল রস করে খেলে এতে শর্করা ও মিষ্টি বেড়ে যায়। যার ফলে আপনার ক্যালরির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।

অবাস্তব প্রত্যাশা

ওজন কমানোর যাত্রায় অবাস্তব প্রত্যাশা করতে যাবেন না। ক্রাশ ডায়েট করলে আপনি হয়তো দ্রুত ফলাফল পাবেন। কিন্তু তা আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর। একজন সুস্থ মানুষের ওজন প্রতি সপ্তাহে ৫০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি পর্যন্ত কমে।  ধীর এবং স্থিতিশীল অগ্রগতি আপনাকে স্থায়ী ফলাফলের দিকে পরিচালিত করবে।

সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া