যে ৮ খাবার দেহের প্রদাহ রোধ করে

Looks like you've blocked notifications!

অনেক সময় শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রদাহ - জ্বালাপোড়া, চামড়ার ভেতর ফুসকুড়ি, ব্যথা হয়। কারণে-অকারণে প্রদাহের যন্ত্রণায় ভুগতে হয় আমাদের। মজার বিষয় হচ্ছে, সব সময় প্রদাহ বিষয়টি খারাপও নয়! অনেক ক্ষেত্রে এটি আমাদের শরীরের বেশ কিছু রোগ বা সাধারণ সমস্যা রোধ করে- এমনটাই বলছে ইয়াহু হেলথ। তবে প্রদাহজনিত সমস্যা যদি দীর্ঘদিনের হয় তাহলে হৃদরোগ, ক্যানসার, ক্রনিক রোগ, স্ট্রোক ইত্যাদি সমস্যায় গড়াতে পারে। প্রদাহের সমস্যা রোধে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যোগ করে নিন কিছু খাবার।

জলপাইয়ের তেল

জলপাইয়ের তেল দেহের প্রদাহ রোধে বেশ কার্যকর। পাস্তা, সালাদ, পিৎজা ইত্যাদি খাবারে জলপাইয়ের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে।

টার্ট চেরি

টার্ট চেরি আর্থ্রাইটিসের ব্যথা এবং ব্যায়াম করার পরে শরীরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এই ফলে রয়েছে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে প্রদাহ প্রতিরোধক উপাদান। টার্ট চেরি জুস করে সকালের নাশতার সঙ্গে খেতে পারেন। এ ছাড়া শুকনো টার্ট চেরি সকালের নাশতায় ওটমিল বা দইয়ের সঙ্গেও রাখতে পারেন।

হলুদ

হলুদের মধ্যে রয়েছে প্রদাহ প্রতিরোধ করার মতো উপাদান। কারকুমিন হচ্ছে হলুদের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য উপাদান যা বিভিন্ন ক্রনিক (যেসব রোগ প্রতিকার করা যায় না) রোগের চিকিৎসায় খুব উপকারী। বিভিন্ন ধরনের পেটের সমস্যা রোধে এবং পাকস্থলীর আলসার রোধে হলুদ কাজ করে। রান্নায় পরিমাণমতো হলুদ ব্যবহার করা তো তাহলে ভালোই, নাকি!

লাল পেঁয়াজ

লাল পেঁয়াজে রয়েছে ফ্লেভনয়েড কোয়ের্সটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান, যা প্রদাহ প্রতিরোধে উপকারী। রান্নায় লাল পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া পিৎজা, বার্গার, পাস্তা, সালাদ, স্যান্ডউইচেও যোগ করতে পারেন লাল পেঁয়াজ।

আঙ্গুর

আঙ্গুরের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফ্লেভনয়েড এবং রেসভারাট্রোল। এগুলো প্রদাহ রোধ করে। রেসভারাট্রোল আলঝেইমার এবং পারকিনসন রোগ প্রতিরোধে বেশ কার্যকর।

ব্রকোলি

ব্রকোলির মধ্যে রয়েছে মিশ্র সালফোরাফেন, যেটা ক্যানসার কোষ সৃষ্টি প্রতিরোধে কাজ করে এবং ক্যানসার তৈরির উপাদান কারসিনোজেনকে প্রতিহত করে। সালফোরাফেন প্রদাহ রোধ করতেও বেশ কার্যকরী। ব্রকোলি বেশি সিদ্ধ করে না খাওয়াই ভালো। সালাদ ও পাস্তা তৈরিতে এটা ব্যবহার করতে পারেন।

স্যামন মাছ

স্যামন মাছে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডসমৃদ্ধ মাছ প্রদাহ রোধ করতে কাজ করে। এ জাতীয় কিছু মাছ হলো টুনা, সার্ডিন ইত্যাদি। সপ্তাহে এক থেকে দুদিন এসব মাছ খেতে পারেন। রান্নার পাশাপাশি গ্রিল বা বেক করেও খেতে পারেন।

আদা

আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় আদা প্রদাহ রোধে কার্যকরী। রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন আদা। এ ছাড়া চা এবং সালাদেও আদার ব্যবহার বেশ জুতসই।