হাঁটু ভালো রাখার কিছু উপায়

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : ফ্রিপিক

হাঁটু শরীরের বড় একটি গাঁট। হাঁটু পায়ের নমনীয়তা ও স্থায়িত্ব ধরে রাখতে কাজ করে। দাঁড়ানো, হাঁটা, লাফঝাঁপের কাজগুলো হাঁটুর ওপর ভর করেই করা হয়। তাই হাঁটু স্বাস্থ্যকর ও শক্তিশালী রাখা জরুরি।

সাধারণত প্রবীণ বয়সে হাঁটুতে সমস্যা হতে দেখা দেয়। এ ছাড়া যেকোনো বয়সে হাঁটুতে সমস্যা হতে পারে। জীবনযাপন ও খাবার-দাবারে কিছু পরিবর্তন আনলে হাঁটুর বিভিন্ন সমস্যা কমে যায়।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপটেন হোম রেমেডি জানিয়েছে হাঁটু শক্তিশালী রাখার কিছু উপায়।

ম্যাসাজ

হাঁটু শক্তিশালী করার জন্য ম্যাসাজ একটি ভালো উপায়। হাঁটুতে ব্যথার সমস্যা থাকলে নিয়মিত ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে রক্ত চলাচল বাড়বে এবং গাঁট শক্তিশালী হবে।

• সামান্য পরিমাণ জলপাইয়ের তেল বা নারকেল তেল হালকা গরম করে হাঁটুতে মাখুন।

• খুব ভালোভাবে হাঁটুর চারপাশে এটি ব্যবহার করুন।

• দিনে দুই বেলা ম্যাসাজ করুন।

এ ছাড়া ফিটনেস বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে হাঁটু শক্তিশালী করার কিছু ব্যায়ামও করতে পারেন।

ক্যালসিয়াম

ক্যালসিয়াম হাড়ের জন্য খুব জরুরি। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে হাড় দুর্বল হয়ে যায়, অস্টিওপরোসিস রোগ হয়। তাই হাঁটুর স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সব সময় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এ জন্য দুধ, কাঠবাদামের দুধ, দুগ্ধজাত খাবার, কমলা, ব্রকলি ইত্যাদি খেতে পারেন। এ ছাড়া চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্টও খেতে পারেন।

ভিটামিন-ডি

হাড় ও গাঁটকে ভালো রাখার জন্য ভিটামিন-ডি খুব উপকারী। ভিটামিন-ডি’র অভাব হলে হাড় দুর্বল হয়ে যায়। এ ছাড়া শরীর ভালোভাবে ক্যালসিয়ামও শোষণ করতে পারে না। সূর্যের আলো থেকে ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়। সকালের সূর্যের আলোতে অন্তত ১৫ মিনিট থাকুন। এ ছাড়া ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। যেমন : মাছ, ডিমের কুসুম ইত্যাদি। চাইলে খেতে পারেন ভিটামিন-ডি’র সাপ্লিমেন্ট। তবে অবশ্যই সেটি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। এ ছাড়া খেতে পারেন ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার, যেমন—কমলা, টকজাতীয় ফল, মরিচ ইত্যাদি। এগুলোও হাঁটুর স্বাস্থ্য ভালো রাখবে।