শীতে সকাল ১০টার আগে গোসল নয়

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : ফ্রিপিক

শীতে প্রকৃতিতে অলসতা ভরে যায়। কম্বলের উষ্ণতা ছেড়ে অনেকে উঠতে চাই না। সূর্যও দেরিতে ওঠে। প্রকৃতির এই অলসতা মানুষকে ভর করে। এ কারণে অনেকেই শীতকালে প্রতিদিন গোসল করতে চান না। কিছু লোক কয়েক সপ্তাহ ধরে গোসলই করে না। অনেকেরই এই অভ্যাস আছে। শীত হোক বা গ্রীষ্ম, বছরের যে কোনো সময়ই আপনার নিজের যত্ন নিতে হবে। এজন্য শীতকালে নিয়মিত গোসল করতে হবে।

শীতে গোসল করতে গিয়ে অনেকেই ভুল করে থাকেন। এই ছোট ভুল আপনার জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ সময় ঠিকমতো যত্ন নিলে অনেক রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায় সহজেই। শীতকালে গোসল করার সময় আপনার কী ভুল করা উচিত নয় এবং এর পরিবর্তে আপনি কী করবেন--

কখন গোসল করা উচিত

শীতে সকাল ১০টার আগে গোসল করা উচিত নয়। এজন্য সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে গোসল করাটাই ভালো। এ সময়টাকে ভোর এবং বিকেলের ঠান্ডা আবহাওয়া থাকে না বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। 

তবে আপনার যদি সময় না থাকে, প্রায়ই সকালে গোসল করা প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। গোসলের পর পুরো শরীর শুকিয়ে নিতে হবে। অনেক বয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, গোসল করার পরেও তাদের শরীরে পানি থেকে যায়। এজন্য এ বিষয়টি খেয়াল রাখা জরুরি। 

কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন

শীতকালে, খুব ঠান্ডা পানিতে গোসল না করাই ভাল। যেহেতু শীত এমনিতেই ঠান্ডা, তাই ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করলে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই শীতকালে এই অভ্যাস পরিহার করা উচিত। বরং হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করুন। খেয়াল রাখবেন পানি যেন বেশি গরম না হয়। এতে আপনার ত্বক ও চুলের ক্ষতি হতে পারে। এই পানিতে গোসল আপনাকে আরও উদ্যমী এবং স্বাস্থ্যবান করবে।

শীতে শিশুর গোসল

অনেকেই শীতকালে তাদের বাচ্চাদের নিয়মিত গোসল করতে চান না। আপনি যদি আপনার শিশুকে নিয়মিত গোসল না করান, তাহলে সে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে। এতে শিশুর শরীরে ব্যাকটেরিয়া তৈরি করা সহজ করে তোলে। তাই এই সময়ে শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। শীতকালে শিশুর গোসলের পানির তাপমাত্রা সহনীয় ও আরামদায়ক হতে হবে। শিশুর শরীরের তাপমাত্রা ও পানির তাপমাত্রা সমান রাখতে হবে। হালকা গরম পানিতে গোসল করলে শরীরের লোমকূপের মুখ খুলে যায়। মাটিতে হাঁটলেও ঠাণ্ডা লাগার চিন্তা করতে হবে না।