অল্প বয়সেই পাকা চুল? ৫ খাবারেই মিলবে সমাধান
জীবন যাপন আর খাদ্যাভ্যাসের কারণে এখন অনেকেরই অল্প বয়সে চুল পেকে যায় বা সাদা হয়ে যায়। বড়দের পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে এই সমস্যা। অনেক অভিভাবকরা বাচ্চাদের এই সমস্যা নিয়ে বেশ চিন্তায়। বাচ্চাদের চুল সাদা হয়ে যাওয়ার একাধিক কারণ রয়েছে। বায়ুদূষণ তো রয়েছেই। কিন্ত এর থেকে মুক্তির উপায় কী?
ভারতের সংবাদমাধ্যম জীবনধারা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট নিউজ ১৮- এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫টি খাবার মিলবে চুল পাকার সমাধান। যেগুলো অবশ্যই শিশুদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এটি চুলের অকাল পাকা হওয়া রোধ করবে। এই সমস্যা থেকে সহজ উপায় জানালেন বিশেষজ্ঞরা। আসুন, আমরা এ থেকে প্রতিকারের উপায় জেনে নিই—
তিল
কালো তিল মেলানিন (চুল এবং ত্বকের রঙের জন্য দায়ী রঞ্জক) উৎপাদন করতে মেলানোসাইট কার্যকলাপকে উন্নীত করতে পারে। আপনি যদি না চান আপনার বাচ্চাদের চুল অল্প বয়সে ধূসর হোক, তাহলে তাদের তিল খাওয়ান। এজন্য খাবারের পর দিনে এক টেবিল চামচ খেতে পারেন। এ ছাড়াও, লাড্ডু/চিক্কির আকারেও তিলের বীজ খাওয়া যেতে পারে। আটার সঙ্গে মিশিয়ে রুটি তৈরি করতে পারেন। তিলের বীজের তেল মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়াতে এবং চুল পাকা রোধ করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘বি’ থাকে।
আমলকি
আমলকির রস একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়, যা আমাদের স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। শুধু তা-ই নয়, চুলের যেকোনো সমস্যায় আমলকির রস ভালো কাজ করে। চুলের যত্নে ভিটামিন, মিনারেলস সমৃদ্ধ আমলকির রস আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। আমলকি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা অল্প বয়সে চুল পাকা হওয়া প্রতিরোধ করে। তাই আপনার বাচ্চাদের খাদ্যতালিকায় আমলকির জুস রাখুন। এটি পাউডার আকারেও দেওয়া যেতে পারে।
এজন্য তিন গ্রাম আমলকির গুঁড়া এবং আধা চা চামচ ঘি মিশিয়ে খাওয়ান। গরম জলে আমলকির রস মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। এটি ৫-১০ মিলি-এর বেশি হওয়া উচিত নয়। এ ছাড়াও আমলা ক্যান্ডি দিন এবং আমলা তেল দিয়ে চুল ম্যাসাজ করুন।
ঘি
প্রাচীনকাল থেকেই ঘি নানাভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিশেষ করে ঘি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। চুল পাকা রোধ, চুল পড়া রোধ এবং চুলের বৃদ্ধিতে গরুর ঘি তিনটি উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রতিদিন আপনার বাচ্চাদের ডায়েটে এটি অন্তর্ভুক্ত করুন।
কিশমিশ
কিশমিশক হল আয়রনের পাওয়ার হাউস। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে, যা খনিজকে দ্রুত শোষণ করতে সহায়তা করে। চুলে সঠিক পুষ্টি জোগায়। পাকা চুল, চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। স্বাস্থ্যকর চুলের বৃদ্ধি প্রচার করে। প্রতিদিন সকালে বাচ্চাদের খেতে দিতে পারেন ৫টি ভেজানো কালো কিশমিশ।
কারি পাতা
প্রাচীনকাল থেকেই চুলের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে কারি পাতা। এই পাতা ভিটামিনের একটি উৎস। এগুলো ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ। এ ছাড়াও কারি পাতা আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের একটি বড় উৎস। কারি পাতা চুল পড়া কমায়। চুল পাকা হওয়া রোধ করে। ডাল, পোলাও, স্যুপ, সবজির মতো খাবারে অবশ্যই ৩-৪টি কারি পাতা যোগ করুন। এতে স্বাদই বাড়ার পাশাপাশি চুলের উপকার হবে।