সারাদিন ল্যাপটপ-মোবাইলে চোখ, তাহলে যেভাবে যত্ন নেবেন 

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : ফ্রিপিক

মানবদেহের সংবেদনশীল অঙ্গ হল চোখ। সারাদিনে বিভিন্ন কাজের জন্য চোখ রাখতে হয় কম্পিউটার ও মোবাইলে। আর এজন্য চোখের ওপর অনেক চাপ পড়ে। তাইতো ছোট থেকে বড় এখন সকলের চোখের কমবেশি চশমা দেখা যায়। 

অনেকে একটানা বই পড়া অথবা অফিসের কাজে টানা ৯ থেকে ১০ ঘণ্টা ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের ব্যবহার করে। ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ-১৮ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে অনেকে বাড়িতে এসে ওটিটিতে ওয়েব সিরিজ কিংবা টিভিতে দীর্ঘক্ষণ চোখ রাখে। এতে দেখা দেয় চোখের নানা সমস্যা। এ ছাড়া ভিটামিনের অভাবজনিত কারণেও হতে পারে চোখের নানা রোগ। আবার বার্ধক্যজনিত কারণেও চোখে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এসব সমস্যা এড়াতে চোখের যত্ন নিতে হবে। কাজের সময় চোখ ভালো রাখতে মাঝেমধ্যে চোখে পানির ঝাপটা দিন।

চোখের ক্ষতির বিষয়ে চক্ষু বিশেষজ্ঞরা জানান, কম্পিউটার , ল্যাপটপ বা মোবাইলে কাজ করার সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের দিকে বেশ অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকতে হয়। এ ছাড়া, সারাদিনে অনেকক্ষণ টিভিতে প্রিয় অনুষ্ঠান দেখার কারণেও টিভি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়। এসব কিছুর ফলে সব থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয় চোখ।

অত্যধিক ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখে নানা রকম সমস্যা হতে শুরু করে। এর বেশিরভাগই আমরা এড়িয়ে চলি। যেমন, চোখ থেকে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, মাথা যন্ত্রণা, চোখ শুকিয়ে যাওয়া। এসব কিছু একেবারেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়। মারাত্মক কিছু রোগের পূর্ব লক্ষণ হল এগুলো।

চোখের যত্ন নেবেন যেভাবে

চোখ ভাল রাখতে দিনে অন্তত ছয় থেকে আট গ্লাস পানি খেতে হবে। এতে চোখ পরিষ্কার এবং সুস্থ থাকবে। প্রত্যেক দিনের ডায়েটে থাকা তাজা ফল এবং সবজি চোখকে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা করে। যে সমস্ত খাবারে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস রয়েছে সেগুলো বেশি খেতে হবে। একটানা অনেকক্ষণ ডিজিটাল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা চলবে না।

মাঝে মধ্যে স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে রাখা উচিত। ২০ মিনিট অন্তর কমপক্ষে ২০ সেকেন্ডের জন্য ডিজিটাল স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে রাখুন। চোখ ভাল রাখতে ধূমপান করা বন্ধ করতে হবে।

এ ছাড়া রোদে বাইরে বের হলে ইউভি প্রোটেকশনযুক্ত সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। তাই সামান্য এই বিষয়গুলো মেনে চললেই চোখের সমস্যা অনেকটাই এড়ানো সম্ভব। তবে সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।