হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা পেতে কাঁচা পেঁয়াজ খাবেন যেভাবে
বৃষ্টি হলেও কমছে না গরম। শুধু দিন না রাতেও গরম থাকছে। আর গরমে মানুষের মধ্যে হিটস্ট্রোক প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে কিছু সর্তকতা অবলম্বন করলে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমে। কিন্তু শুধু বাহ্যিক সতর্কতা নয়, খাবারের ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। এই প্রচন্ড গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখবে এমন সব ফল ও সবজি খেতে হবে। যে সব সবজি হিটস্ট্রোকের হাত থেকে রক্ষা করে তাঁদের মধ্যে অন্যতম হল পেঁয়াজ। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের
কাঁচা পেঁয়াজ নানা পুষ্টিগুণে ঠাসা। এর মধ্যে থাকা নানা উপাদান আপনার শরীরকে শীতল রাখে। এই প্রবল গরমের প্রভাব থেকেও শরীরকে রক্ষা করে। এটি হিটস্ট্রোক ও ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যা থেকেও রক্ষা করে।
পেঁয়াজ এই গরম থেকে আপনাকে ঠান্ডা রাখে। কারণ, এতে রয়েছে কুলিং এজেন্ট। এতে থাকা উদ্বায়ী তেল, শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে, তাই এটি শরীরকে গরমে হাইড্রেশনে সাহায্য করে। এ ছাড়াও, এটি পটাসিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইট সরবরাহ করে, যা শরীরে পিএইচ স্তর বজায় রাখে।
পেঁয়াজ ফ্ল্যাভোনয়েড, ফেনোলিক্স এবং ভিটামিন সি-সহ নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এই কারণেই প্রচণ্ড গরমেও আপনাকে ঠাণ্ডা রাখতে পেঁয়াজ কার্যকর। আপনি এটি সালাদ আকারে বা দুপুর ও রাতের খাবারে খেতে পারেন। সকালের নাশতায় স্যান্ডউইচেও কাঁচা পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁয়াজের রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করলেও একই রকম কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার মতোই উপকারিতা পাবেন। যেকোনো বয়সের যেকোনো কেউ এইভাবে খেতেই পারেন পেঁয়াজর রস। তবে দীর্ঘস্থায়ী কোনো রোগে ভুগলে এই ভাবে পেঁয়াজের রস খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। যদি হোমিওপ্যাথিক ওষুধ খান সে ক্ষেত্রেও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা আবশ্যক।